Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের সভাপতির ওপর ফের হামলা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২১, ৩:০৫ পিএম

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের (৭১)ওপর ফের হামলা চালিয়েছে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বদু কেরানীর পোল সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার জের ধরে খিজির হায়াত খানের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খিজির হায়াত খান অভিযোগ করেন যে, রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যোগে বাড়ি থেকে বসুরহাট বাজারে আসার পথে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বদু কেরানীর পোল এলাকায় পৌঁছলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মো. রাসেল ও একই ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আইনাল মারুফের নেতৃত্বে ৮-১০জন আমার রিকশার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।

এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অনুসারী পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাসেলের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, এ বিষয়ে খিজির হায়াত খান মৌখিকভাবে তার ওপর হামলা বিষয়ে আমাকে অবহিত করেছেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলায় মির্জা অনুসারী কয়েকজনকে আসামি করাকে কেন্দ্র করে রাসেল কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগ নেতা মারুফের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনানুগ প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, এরআগে গত (৮ মার্চ) পাঁচটার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর আবদুল কাদের মির্জা,তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়। হামলার এক পর্যায়ে খিজির হায়াতকে ওই কক্ষের ভেতর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনা হয়। তাঁরা এ সময় তাঁকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন এবং পরনের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন।ওই হামলায় খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা সাত-আটজন আহত হয়েছেন। তখন তিনি এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে চাইলেও কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করায় মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে এ ঘটনায় তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ