মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে পূর্ব লাদাখের প্যানগং টিএসও’র উত্তর তীরে প্রথম সংঘর্ষের এক বছর পর চীন এখন তার সামরিক অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করছে এবং একটি স্পষ্ট সঙ্কেত দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের লাইন ধরে ‘গভীর অঞ্চলে’ সেনা ঘুরছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। এটা শিগগিরই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসের কোনো লক্ষণ নয়। লাদাখের ঘটনা নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা কর্তাদের।
কঠোর শীত কমে যাওয়ার সাথে সাথে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) গত বছরের ‘গভীর অঞ্চলে’ স্থাপন করা অস্থায়ী কাঠামো, গোলাবারুদ ডাম্প, হেলিপ্যাড এবং সারফেস থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থানগুলো এলএসির ২৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে স্থায়ী অবস্থানে দ্রুত মোতায়েন করছে।
মঙ্গলবার ভারতের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘পূর্ব লাদাখের প্রান্তরেখায় পিএলএর সেনার সাম্প্রতিককালে আর কোনো উপস্থিতি নেই। তবে চীন এই অঞ্চলে সীমান্ত বরাবর সামরিক অবস্থানগুলোকে শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে ঘর্ষণ পয়েন্টের পিছনের অঞ্চলগুলোতে বৃহৎ বাহিনী বজায় রাখছে’।
‘উদাহরণস্বরূপ, প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় প্যাংগং তসোর মঞ্চ হিসাবে কাজ করতে পারে রুটোগ কান্ট্রি এরিয়া, যেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রচুর কর্মকাণ্ড দেখা গেছে। পিএলএ অবশ্যই উন্নততর রাস্তা এবং অন্যান্য যোগাযোগের কারণে এলএসি-তে আরো দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারে’ -তিনি যোগ করেন।
গত বছরের ৫-৬ মে তারিখে প্যাংগং তসোর উত্তর তীরে যে বড় ধরনের লড়াই শুরু হয়েছিল, তাতে ডজনখানেক ভারতীয় ও চীন সেনা আহত হয়। তারপর ৯ মে উত্তর সিকিমের নাকু লাতেও আরো একটি ঘটনা ঘটেছিল।
চীন হঠাৎ করে তাদের বার্ষিক বসন্ত/গ্রীষ্মের অনুশীলন থেকে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে পূর্ব লাদাখের একাধিক পয়েন্টে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য চীন যেভাবে তার সেনা সরিয়ে নিয়েছিল, তাতে ভারত তখন রক্ষা পেয়েছিল। এর জবাবে, ভারত তিনটি অতিরিক্ত বিভাগ ( প্রতি বিভাগে ১০-১২ হাজার সেনা), হাওটিজার এবং সাঁজোয়া যানবাহন, পাশাপাশি পিএলএ মোতায়েনের জন্য যোদ্ধা, বোমারু বিমান এবং ভারী হেলিকপ্টার স্থাপন করেছিল।
উত্তেজনাকর মুখোমুখি হওয়ার কারণে ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সঙ্ঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল এবং ৪৫ বছরে প্রথমবারের মতো উভয় পক্ষের হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং কৈলাশ রেঞ্জের চুশুল সেক্টরে ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী সেনারা ‘সতর্কতা’ও আদান-প্রদান করেছিল।
বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার পরে অবশেষে ফেব্রুয়ারিতে দুটি বাহিনী প্যাংগ তসোর উভয় পক্ষেই সরে যায়। তবে এরপর থেকে পিএলএ গোগড়া, হট স্প্রিংস, ডেমচক এবং দেপস্যাং মাঠ থেকে টান ফিরে যেতে অস্বীকার করেছে, যেমনটি আগে টিওআইয়ের রিপোর্ট ছিল।
গ্রীষ্মের সূচনা হওয়ার সাথে সাথে ভারত এবং চীন উভয়ই তাদের অঞ্চলগুলিতে তাদের বাহিনী নিয়ে আসার পাশাপাশি তাদের বার্ষিক মহড়া ও এখন মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত। উদাহরণস্বরূপ, পিএলএ এলএসি-র শেষ দুই মাসে তার দুটি মোটরচালিত পদাতিক ডিভিশন প্রতিস্থাপন করেছে।
লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ৩,৪৮৮ কিলোমিটার এলএসি ছাড়াও নিয়মিতভাবে রাস্তা, সামরিক শিবির, ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থান এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি হোতান, কাশগড়, গার্গাসা (গারি গুনাসা), লাসা-গঙ্গাগর এবং শিগাটসের মতো চীনা বিমানবন্দরগুলোও অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমানের জন্য এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। ‘এসব বিমানবন্দরে অতিরিক্ত মোতায়েনের কাজ চলছে। খুব একটা বদল হয়নি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।