Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বুথ ফেরত সমীক্ষা: ১৫২ থেকে ১৬৪ আসন পেতে পারে তৃণমূল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৪৫ পিএম | আপডেট : ১০:৪৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

ভারতের পাঁচ রাজ্যে ভোট-গ্রহণ শেষে প্রকাশিত হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। পাঁচটি সমীক্ষাতেই বাংলায় এগিয়ে তৃণমূলকে। আসামে আরও একবার বিজেপি জয়লাভ করতে পারে, বলছে বুথফেরত সমীক্ষা। সি-ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী ১৫২ থেকে ১৬৪ আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পেতে পারে ১০৯ থেকে ১২১ আসন। সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ১৪ থেকে ২৫ আসন।

সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃণমূল ৪২ শতাংশ ভোট পেতে পারে। বিজেপি পেতে পারে ৩৯ শতাংশ ভোট। সংযুক্ত মোর্চা ১৫ শতাংশ ও অন্যান্যরা ৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৪.৯ শতাংশ। বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ১০.২ শতাংশ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৩৭.৯ শতাংশ ভোট। অন্যরা পেয়েছিল ৭ শতাংশ ভোট।

ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, বাংলায় ভোটে তৃণমূল পেতে পারে ১৩০-১৫৬টি আসন। এই সমীক্ষা বিজেপি পেতে পারে-১৩৪-১৬০টি আসন। অর্থাৎ, মসনদে বসতে পারে যে কেউ। এই সমীক্ষা ফললে অমিত শাহের ২০০-র তত্ত্বও যেমন খাটবে না। তেমনই খাটবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দুই তৃতীয়াশ আসনে জয়ের তত্ত্বও।
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৬ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল। ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২১১টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল তৃণমূল। সে বার বিজেপি মাত্র ৩টি আসন জিততে পেরেছিল। খড়্গপুর সদর, মাদারিহাট এবং বৈষ্ণবনগর। ২০১৬-তে বামফ্রন্ট আর কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়াই করেছিল। তাদের ঝুলিতে গিয়েছিল ৭৭ আসন। নির্দল ৩ ও বিজেপি ৩ আসনে জয়ী হয়েছিল।

২০১১-র বিধানসভা ভোটের তুলনায় ২৭ আসন বেশি পেয়েছিল তৃণমূল। ২৯৩ আসনে লড়াই করে জিতেছিল ২১১ আসনে। কংগ্রেস ৯২ আসনে লড়াই করে জিতেছিল ৪৪ আসনে। সিপিএম ১৪৮ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ২৬ আসন। ফরোয়ার্ড ব্লক ২৫ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ২ আসন। আরএসপি ১৯ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ৩ আসন। সিপিআই ১১ আসনে লড়েছিল। পেয়েছিল ১ টি আসন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। বাম, কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি।

সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের দুশো বিরানব্বইটি বিধানসভা কেন্দ্রের পঁচাশি হাজারেরও বেশি ভোটারের সঙ্গে একেবারে সরাসরি কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে সাতাশে মার্চ থেকে উনত্রিশে এপ্রিল পর্যন্ত। মার্জিন অফ এরর প্লাস-মাইনাস ৩ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ