যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই বেড়েছে দাবদাহ। এই সাথে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। গরমের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শরীরে পানিশূন্যতা পূরণে তরমুজ খুবই উপকারী। বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। লাল টুকটুকে রসালো এ ফলটি খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। শারীরিক বিভিন্ন উপকারিতাও মেলে তরমুজ থেকে। ভিটামিন, মিনারেল, খনিজ পদার্থ সবই থাকে তরমুজে। এতে আছে পটাশিয়াম ও লাইকোপিনের মতো শক্তিশালী সব খনিজ উপাদান। পেশির ব্যথা দূর করা থেকে শুরু করে হৃদরোগের সমস্যা সমাধান এমনকি ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে তরমুজে থাকা পুষ্টিগুণ। মৌসুমি ফল হিসেবে বেশ চাহিদা রয়েছে তরমুজের। তরমুজ রসে ভরপুর সুস্বাদু একটি ফল।
তরমুজ তীব্র গরমেও আপনার শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। সামান্য ক্যালোরি আছে এতে। এক কাপ তরমুজ থেকে মাত্র ৪৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়।
★তরমুজের যত উপকারঃ-
* সর্দি-কাশি, জ্বর ও ইউরিনের সমস্যায় তরমুজ খুবই উপকারী। এ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তরমুজ উপকারী বন্ধু হিসেবে কাজ করে।
* শরীরের বেশ কিছু জরুরি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় তরমুজ থেকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে তরমুজ খেতে পারেন।
* তরমুজে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের মিনারেলস থাকে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
* তরমুজ ত্বক ও চুল প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর রাখে। তরমুজে থাকে ভিটামিন এ ও সি।
* হজমে সমস্যা দূর করতে পারে তরমুজ।
* পানিশূন্যতা পূরণ করে- তরমুজে রয়েছে শতকরা ৯১ ভাগ পানি। যা শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ করে। এই প্রাকৃতিক পানি ফিল্টারের পানির চেয়ে বিশুদ্ধ।
* শক্তি বাড়ায়: তরমুজে রয়েছে ভিটামিন বি যা শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়া তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম যা ইলেকট্রোলাইটের কাজ করে।
* হাড়ের স্বাস্থ্য: হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ খুবই উপকারি। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি যেটি হাড়ের ছোট খাটো সমস্যা দূর করে। তরমুজ খাওয়ার ফলে হাড়ের চিড় ধরা রোধ করে।
* মাড়ির জন্য: তরমুজে থাকা ভিটামিন সি মাড়ির জন্য খুবই উপযোগী। ভিটামিন সি মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া ও মাড়ির সংক্রমন রোধ করতে সাহায্য করে।
* কোষ নষ্ট হওয়া আটকায়: লাইকোপেন সমৃদ্ধ তরমুজ শরীরের কোষগুলোকে হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে।
* চোখ ভালো রাখে: তরমুজে আছে ক্যারোটিনেড। তাই নিয়োমিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারোটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* কিডনী সুস্থ রাখে: তরমুজের রস কিডনীর বর্জ্য পরিষ্কার করে। তাই কিডনীতে পাথর হলে ডাবের পানির পরিবর্তে চিকিৎসকগণ তরমুজ খাওয়ার পরামশ্র্ দেন।
* ত্বক সজীব রাখে: তরমুজে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে সজীব রাখে। পাশাপাশি ত্বকের যে কোন সংক্রমন প্রতিরোধ করে। তরমুজ খেলে ত্বকে সহজে ভাজ ও বলিরেখা পরে না।
* গর্ভবতীর জন্য: গর্ভবতীদের বুকে জ্বালাভাব ও মাংসপেশিতে ব্যথা রোধ করে তরমুজ।
★ তরমুজের এতসব গুণাগুনের পাশাপাশি ক্ষতিকর দিকও রয়েছেঃ-
* পেটের সমস্যা: যেকোনো কিছু অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তরমুজেও ঠিক তাই, তরমুজ বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তরমুজে অতিরিক্ত মাত্রায় লাইকোপেন থাকায় বমি, বদহজম, পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া দেখা দেয়।
* হাইপারক্যালেমিয়া: অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খেলে অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম বেড়ে যায়। যার ফলে হার্টের সমস্যা, হৃদস্পদন ও নাড়ি দুর্বল হয়ে যায়।
* অ্যালার্জি: যাদের তরমুজ খেলে অ্যালার্জি হয় তাদের তরমুজ খাওয়া উচিত না। এতে শরীরে চুলকানি ও ত্বকের লালচে ভাব দেখা দেয়।
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
কো-চেয়ারম্যান হোমিও বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।