বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মৌসুমী ফল তরমুজ। পবিত্র রমজান আর বৈশাখের খরতাপে এর ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। সাথে বেড়েছে দামও, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। এদিকে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেজি দরে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ীরা লুফে নিচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা। অথচ কৃষকরা পাচ্ছেন না তরমুজের ন্যায়্য মূল্য।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। এর বিরুদ্ধে তারা হয়েছেন সোচ্চার। প্রশাসনের কাছে ‘কেজি দরে নয়, পিস হিসেবে সঠিক মুল্যে তরমুজ বিক্রি’ নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানাচ্ছেন সকলে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোচ্চার। কোথাও কোথাও সরকারকেও ব্যবস্থা নিতে দেখছি। সরকারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়, এই প্রবণতা শুরু হলো কিভাবে? এই ঢাকা শহরের সুপারমলগুলো গত ৫/৬ বছর পূর্বে থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছে। তখন তো কাউকে এ নিয়ে সোচ্চার হতে দেখিনি বা সরকারকেও ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। এখনো সুপারমলগুলোতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। বানিয়ে তো কেউ কথা বলছে না। যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তা এ বিষয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তাদের কাছে অনুরোধ একটু স্বপ্ন, মিনা বাজার, আগোরা প্রভৃতি সুপারমলগুলো ঘুরে আসুন।’
এনায়েত ইসলাম দীপ লিখেন, ‘কৃষক তো কেজি দরে দাম পাচ্ছে না,তবে কেন এ আমরা কেজিতে নিবো? কারা এই সিন্ডিকেট........ ১ সপ্তাহ তরমুজ কেনা থেকে বিরত থাকুন দেখবেন, ডেকে ডেকে কেনা দামে দিয়ে দিবে! এভাবেই হোক প্রতিবাদ......’
সামিউল সিদ্দিক শাকিল লিখেন, ‘এই সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়াটা এখন সময়ের দাবী।’
‘শুধু তরমুজ কেন সকল খাদ্যপণ্য সিন্ডিকেটের হাতে।’ - খান রাজুর মন্তব্য।
‘আমাদের দেশে এই বাজার ব্যবস্থাটাই ঠিক হলো না। কৃষক জান-প্রাণ দিয়ে ফসল উৎপাদন করে তারা সঠিক মূল্য পায় না। দেশের কৃষক ও কৃষিতে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমন্বয় খুবই জরুরী’ বলে মনে করেন রুবেল সরদার।
আল জামিল লিখেন, ‘ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। রাজধানীর যাত্রাবাড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হউক।’
প্রশাসন চাইলে ও সাধারণ ক্রেতারা সোচ্চার হলে এই ব্যবসায়ীদের এই নৈরাজ্য বন্ধ সম্ভব বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।