পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
একদিকে চৈত্রের দাবদাহ। অন্যদিকে পবিত্র মাহে রমজান। দুটি উপলক্ষকে কেন্দ্র করেই মৌসুমি ফল তরমুজের চাহিদা অনেক বেড়েছে। আর এ সুযোগে কেজি দরে প্রতিটি তরমুজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদনও হয়েছে বেশি। তবুও দামে কোন তফাৎ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কৃষকপর্যায় থেকে ৫০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে। গেল বছর তরমুজের কেজি দর নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে। আর এ বছর দোকানিরা নিজেরা আগে থেকেই ওজন ঠিক করে পিস বা কেজি দরে বিক্রি করছেন। রাজধানীতে গতকাল শনিবার প্রতি কেজি তরমুজ আকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, গত বছর কৃষক ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে তরমুজের ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর তরমুজের চাষ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। ইতোমধ্যে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও বরিশাল থেকে তরমুজ ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। এ ছাড়া নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের তরমুজ আসতে শুরু করেছে।
ঢাকার সদরঘাট, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর আগাম জাতের তরমুজের ভালো উৎপাদন হয়েছে। কৃষকরা ইতোমধ্যে ফসল তুলতে শুরু করেছেন। বাজারে পর্যাপ্ত তরমুজ আসছে। তবে, এই সময়ে দাম কমার লক্ষণ নেই। দোকানিরা বলছেন, আড়তে দাম বাড়ায় তাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সদরঘাটের একজন আড়তদার জানান, মৌসুমি ফলের মধ্যে তরমুজ দ্রুত পচনশীল। তাই আড়তে এই ফল বেশি সময় রাখা সম্ভব নয়। সেজন্য গড়ে ১০ শতাংশ লাভে বিক্রি করতে হয়। খুচরা বিক্রেতারা আড়তের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ানোর কথা শোনা যায়। তারা বেশির ভাগ সময় বাকিতে ফল কিনে বিক্রির পর টাকা পরিশোধ করে থাকেন। এতে তাদের ক্ষতির পরিমাণ কম হলেও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করেন। পাইকারি এ ব্যবসায়ী জানান, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হলে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
এদিকে সচেতন মহল মনে করেন, ব্যবসায়ীদের অতি লোভের কারণে নিত্যপণ্যসহ ফলমূলের দাম বেড়ে থাকে। আর এ নিয়ে বাজার তদারকি কমিটিকে আড়ত এবং মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। যদিও সরকারের অধিদফতরগুলো বলছে, অনৈতিকতা আর সুযোগসন্ধানীদের কারণে বাজার অস্থির হয়ে থাকে। অসাধু এই চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে ভোক্তার সচেতনতা জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।