Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসিয়ানের ৫ দফায় ঐকমত্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট ভয়াবহ সহিংসতার প্রেক্ষিতে শনিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আসিয়ানভুক্ত নেতারা। ওই বৈঠকে মিয়ানমারের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে ৫ দফা প্রস্তাবে সবাই একমত হন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আসিয়ানের চেয়ার ব্রুনাইয়ের সুলতান। এতে যে পাঁচ দফা প্রস্তাবে সবাই একমত হন তাহলো- ১. অবিলম্বে মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে। ২. জনগণের স্বার্থে একটি শান্তিপ‚র্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট সব দল গঠনম‚লক আলোচনা করবে। ৩. আসিয়ান চেয়ারের বিশেষ একজন দ‚ত আলোচনা প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করবেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতা দেবেন আসিয়ানের সেক্রেটারি জেনারেল। ৪. এএইচএ সেন্টারের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা দেবে আসিয়ান। ৫. বিশেষ দ‚ত এবং প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মিয়ানমার সফর করবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ব্যাংকক পোস্ট। এতে আরো বলা হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচির সরকারকে ১লা ফেব্রæয়ারি এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। গ্রেপ্তার করে সুচি ও তার শীর্ষ নেতাদের কোথায় রাখা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। ওই অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সহিংসতায় নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের গুলিতে কমপক্ষে ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এ জন্য সামরিক জান্তার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করে এসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান)। এ লক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় সম্মেলন আহবান করে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো। অভ্যুত্থানের পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তাতে যোগ দেন সামরিক জান্তা মিন অং। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যত তাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিই দেয়া হলো। তাকে ওই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধিতা করেছে মিয়ানমারে সব বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি- বা নাগ)। তারা আসিয়ানের প্রতি আহবান জানিয়েছিল, মিন অংয়ের পরিবর্তে তাদের প্রতিনিধিকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতে। শনিবারের এই সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, প্রথমেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ থাকবে সহিংসতা বন্ধ করতে। একই সঙ্গে সেখানে উত্তেজনা নিরসনে সব পক্ষকেই অবশ্যই একই কাজ করতে হবে। তবে সম্মেলনে যোগ দিলেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি কোনো বিবৃতি দেননি। কিন্তু সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হসেইন লুং আগেই দাবি জানিয়েছেন অং সান সুচিকে মুক্তি দিতে। লি হসেইন লুং বলেছেন, জান্তা নেতা আমাদের কথা শুনেছেন। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসিয়ান একটি গঠনম‚লক ভ‚মিকা রাখবে অথবা আসিয়ানের প্রতিনিধিরা সফর করবে বা মানবিক সাহায্য দেবে- এসবের বিরোধী নন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। পক্ষান্তরে তারা সামনের দিকে অগ্রসর হবে এবং আসিয়ানের সঙ্গে গঠনম‚লক পথে যুক্ত থাকবে। ওদিকে শনিবার নতুন করে টুইট করেছেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউনাই মনে করেন সহিংসতা প্রশমন, মানবিক সহায্য সরবরাহ দেয়া, বন্দিমুক্তি এবং আসিয়ান সামিটে আলোচনার বিষয়ে ‘ডি৪ডি’ হিসেবে মিয়ানমারকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচা’র পক্ষে সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করেন। অনলাইন ব্যাংকক পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আসিয়ান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ