Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরোধপূর্ণ দ্বীপে চীনা তৎপরতা বন্ধের আহ্বান আসিয়ানের

ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চীন সাগরে আবারো উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও চীন সরাসরি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে এটা একটি অপপ্রচার। গণমাধ্যমে প্রচারিত এসব খবরকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, এগুলো পশ্চিমা গণমাধ্যমের মিথ্যাচার। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কর্মকর্তারা গত বুধবার জানিয়েছেন, বিতর্কিত একটি দ্বীপে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন। তাছাড়া বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে বিতর্কিত দ্বীপের পুনরুদ্ধার ও গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ান।
উল্লেখ্য, দ্বীপটিতে বসবাস করে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মূলত সৈনিক। বাকিরা নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত শ্রমিক এবং জেলে। এছাড়া এখানে রয়েছে একটি স্কুল, হাসপাতাল, গ্রন্থাগার, নৌ-বন্দর এবং বিমানবন্দর। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই আসলে দাবি করে চীন। কিন্তু সেই সাথে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনেইও এখানকার দাবিদার। বিবাদটা মূলত এখানেই। ২০১৫ সালে বেইজিং থেকে সাময়িকভাবে জঙ্গি বিমান জোগান দেয়া হয়েছিল উডি দ্বীপে। বর্তমান বছরগুলোতে চীন অতিরিক্ত ভূমি দাবি করায় সামরিক উত্তেজনা এবং সংঘাতের শঙ্কা কাজ করছে আন্তর্জাতিক মহলে।
খবরে বলা হয়,  বেইজিংয়ে অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ চীন সাগরে মিসাইল মোতায়েনের খবরটি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে একে পশ্চিমা গণমাধ্যমের অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চীন ওই দ্বীপে লাইটহাউস নির্মাণ ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়ার কিছু যন্ত্রপাতি স্থাপন করেছে। আর ওই অঞ্চলে নিরাপদে নৌ-যান চলাচলের জন্য যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়, সেটুকুই করা হয়েছে। এসব নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ডেভিড লো গত বুধবার বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত পার্সলেস দ্বীপপুঞ্জের উডি আইল্যান্ডে (ইয়োংশি দ্বীপ) ওই মিসাইল মোতায়েন করেছে চীন। এ সময় তিনি দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আগ্রহী পক্ষগুলোর উত্তেজনা কমিয়ে আনতে কাজ করা উচিত বলেও মত প্রকাশ করেছেন। এদিন তাইওয়ানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপাঞ্চলগুলো নিয়ে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের তিক্ততা চরম আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে দ্রুত এর শান্তিপূর্ণ সমাধানে সবপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রর ফক্স নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রর এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা তাদের কাছে চীনের ওই অঞ্চলে মিসাইল মোতায়েনের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইমেজস্যাট ইন্টারন্যাশনাল বা আইএসআই-এর তোলা ছবিতে দেখা গেছে, চীন এই মিসাইলের দুটি ব্যাটারি উডি দ্বীপে মোতায়েন করেছে। দুটি ব্যাটারিতে আটটি মিসাইল লঞ্চার এবং রেডার সিস্টেমও রয়েছে। আটটি লঞ্চারের মধ্যে দুটিকে খাড়া করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের দাবি, মিসাইলগুলো এইচকিউ-৯ সিরিজের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যেটার রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার। বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স, সিনহুয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিরোধপূর্ণ দ্বীপে চীনা তৎপরতা বন্ধের আহ্বান আসিয়ানের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ