পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কার ভয়, উৎকণ্ঠা ও পরিস্থিতির উন্নতি স্বাভাবিক না হতেই দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ তীব্রতর হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে এর প্রভাব লক্ষণীয়। বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, কোভিড-১৯ বিদায় হওয়ার এখনো অনেক দেরি। কিন্তু এই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ আসলে কতটা প্রস্তুত? সরকারের নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি কতটা মানছে দেশের জনগণ? মাস্ক একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় নিত্যদিনের সঙ্গী করোনা মহামারির এই সময়ে। বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই মাস্ককে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অন্যতম সুরক্ষাকবচ বলে আসছেন। এরই মধ্যে সরকারিভাবে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হলেও স্বাস্থ্যসম্মত মাস্কের ব্যবহারে আমরা অতটা সচেতন হচ্ছি না। পুলিশ ও প্রশাসনের লাঠিচার্জের ভয়ে কিংবা সরকারি বিধিমালার কারণে অনেকে জোর করে মাস্ক পরেন। তাও দেখা যায়, বেশির ভাগ সময় মাস্কটা পুলিশের ভয়ে পকেটে নিয়ে বের হচ্ছে, পুলিশ দেখলে মুখে দেয়, নয়তো পকেটেই থাকে। কেউ কেউ মাস্ক পরছেন ঠিকই, কিন্তু যখনই কারও সঙ্গে কথা বলতে যাবেন, তখনই মাস্কটা থুতনিতে নামিয়ে কথা বলেন। অর্থাৎ, সারা দিন মুখে মাস্কটা পরে থাকেন, কিন্তু যেই কারও সঙ্গে আলাপ করছেন, মাস্কটা মুখ থেকে নামিয়ে নিচ্ছেন। তাহলে মাস্ক ব্যবহারের উদ্দেশ্য কতটা সফল হলো? অথচ দরকারই ছিল কথা বলার সময় মাস্কটি আরও সতর্কতার সঙ্গে মুখে সুন্দরভাবে পরা। গণমানুষের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা না এলে করোনার মতো মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা নিশ্চিত কঠিন হবে। তাই আসুন, আমরা পরিস্থিতির নাজুকতা মোকাবিলায় আরও সচেতন হই, নিজেকে বাঁচাতেই মাস্ক ব্যবহারে নিজে আগ্রহী হই, অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করি। কথা বলার সময় মুখের মাস্ক না নামিয়ে কথা বলি।
মো. আলাল উদ্দিন
ডেমরা, ঢাকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।