Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাচীন হাইস্কুলগুলো জাতীয়করণ প্রসঙ্গে

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে জাতীয়করণ সকলেরই দাবি। তবে সরকার পর্যায়ক্রমে স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ করছে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও প্রাপ্ত অফিস নথী অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৯২০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শতবর্ষের প্রাচীন হাইস্কুল রয়েছে ৩৯০টি। তৎকালীন বৃহত্তর জেলা ঢাকায়-৬৩, চট্টগ্রাম-৩৪, সিলেট-১০, ময়মনসিংহ-৫৭, রংপুর-১৪, রাজশাহী-১০, পাবনা-২৪, নোয়াখালী-২৩, খুলনা-৩২, যশোর-২৮, ফরিদপুর-৪১, দিনাজপুর-৮, বগুড়া-১৪ এবং বাকেরগঞ্জে (বরিশাল)-৩২টি হাইস্কুল ছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে। অতি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সেখানে ব্যাংক, বীমা, অফিস আদালত, রাস্তাঘাট স্থাপিত হয়েছে। শতবর্ষের হাইস্কুলগুলোর অবকাঠামো, নিজস্ব জমি, সম্পদ, দোকান, শিক্ষার্থী সংখ্যা, ফলাফল সকল ক্ষেত্রেই প্রশংসার দাবি রাখে। এসকল সম্পদশালী হাইস্কুলগুলো জাতীয়করণ করলে সরকার কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং বিদ্যালয়ের নিজস¦ অর্থ দিয়েই জাতীয়করণের খরচ চালানো সম্ভব। প্রথম ধাপে শতবর্ষের প্রাচীন, দ্বিতীয় ধাপে ব্রিটিশ আমলের (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত), তৃতীয় ধাপে পাকিস্তান আমলের (১৯৭০ সাল পর্যন্ত) এবং ৪র্থ ধাপে বাংলাদেশ আমলের প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করলে সরকারের তেমন আর্থিক সংকট হওয়ার কথা নয়। এমতাবস্থায় পর্যায়ক্রমে সকল হাইস্কুল জাতীয়করণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

ভূপাল চন্দ্র প্রামানিক
প্রধান শিক্ষক, নামুজা উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন