Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংক্রমণ, মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড, ভারতে দেড় কোটি ছাড়াল মোট আক্রান্তের সংখ্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৬:৪৯ পিএম

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই উল্টে পাল্টে দিয়েছে যাবতীয় হিসেব নিকেশ। ভারতে দৈনিক আক্রান্ত আড়াই লাখের কোটা ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮১০ জন। যা রোববারের থেকে প্রায় ১২ হাজার বেশি। এক দিনে দেশে আক্রান্তের নিরিখেও এই সংখ্যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। সংক্রমণের সঙ্গে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জনের। এক দিনে মৃত্যুর নিরিখে গোটা করোনা পর্বে যা সর্বোচ্চ।

গত ৫ দিন ধরে দু’লক্ষাধিক নতুন সংক্রমণের জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে গেল। এ ব্যাপারে বিশ্বে আমেরিকার ঠিক পরই রয়েছে ভারত। মোট মৃত্যুও ভারতে ১ লাভ ৭৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে দেশে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন। এই মুহূর্তে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৩২৯ জন। এত সংখ্যক সক্রিয় রোগী এর আগে হয়নি দেশে। রোগী বৃদ্ধির জেরে হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলিতে শয্যা প্রায় আর খালি নেই। একই শয্যায় দু’জন রোগী শুয়ে থাকার দৃশ্য দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এমনকি অক্সিজেন না পেয়ে কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর আসছে। দৈনিক মৃত্যু এই পর্যায়ে চলে যাওয়ায় হাসপাতালে মর্গের বাইরে, শ্মশানে এবং কবরস্থানে দেহের সারি পড়ে থাকছে। সব মিলিয়ে যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে দেশে তা দেখা যায়নি করোনার প্রথম পর্বেও।

করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই লাগামছাড়া হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলির পরিস্থিতিও সেই দিকেই এগোচ্ছে। গত বছরের মতো এ বারেও দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৬৮ হাজারের বেশি লোক নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সে রাজ্যে। মারা গিয়েছেন ৫১৯ জন। এর পর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে দৈনিক আক্রান্ত সোমবার সাড়ে ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে তা ২৫ হাজারের বেশি। কর্ণাটক এবং কেরলে তা ১৯ হাজার এবং ১৮ হাজারের বেশি। ছত্তীসগঢ়ে অবশ্য গত কয়েক দিনের থেকে সংক্রমণ একটু কমে সাড়ে ১২ হাজারের নীচে রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে দৈনিক আক্রান্ত সোমবার ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। তামিলনাড়ু, গুজরাত এবং রাজস্থানেও দৈনিক আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।

সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত রুখতে আরও এক বার লকডাউনের কড়াকড়ি ফিরিয়ে আনতে চাইছে রাজ্যগুলি। মহারাষ্ট্রে ১ মে অবধি জারি হয়েছে ‘করোনা কারফিউ’। মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে রাত্রিকালীন কারফিউর পাশাপাশি সপ্তাহান্তে হচ্ছে সম্পূর্ণ লকডাউন। রাজস্থানেও সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ১৫ দিনের লকডাউন। তামিলনাড়ুতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে রাত্রিকালীন কারফিউ এবং লকডাউন। বিহার, কর্নাটকের মতো রাজ্যেও রাত্রিকালীন কারফিউ জারি হয়েছে। পাশাপাশি মাস্ক পরা নিয়ে জনগণের উদাসীনতা ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনগুলি। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ