গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারেক শামসুর রেহমান মারা গেছেন। শনিবার রাজধানীর উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রোজেক্টে নিজের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এ সময় বাসায় কেউ ছিলেন না। পুলিশ দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে।
গুনী এই ব্যক্তির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। তার চলে যাওয়াকে দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি মনে করছেন তারা।
আহমেদ আফফান লিখেন, ‘একটা নক্ষত্রের পতন। ভালো মানুষের প্রস্থান। শতবর্ষে এরকম একজন বিদ্বান ব্যক্তি জন্মাবে না। পাচাটা জ্ঞান পাপীদের ভীরে তিনি ছিলেন সাচ্চা দেশপ্রেমিক। আপনার কবর হউক সুপ্রশস্ত বেহেশতের বাগান।’
রোমান মজিবুল হক লিখেন, ‘আন্তর্জাতিক যেকোনো বিষয়ে উনি অগ্রিম সূক্ষ্ম ভালো ধারণা দিতে পারতেন। উনার মৃত্যুতে, দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।’
তারেক শামসুর রেহমানের ছবি শেয়ার করে এমডি পলাশ লিখেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর বই দিয়ে স্যারের লেখা পড়তে শুরু করি, সেইসাথে কলাম এবং স্যারের ব্লগ, বিভিন্ন টিভিতে টক শো কি অসাধারণ বিশ্লেষণই না করতে পারতেন।’
ফারুক আহমেদ লিখেন, ‘তারেক শামসুর রহমানের অনেক লেখা পত্রিকায় পড়েছি, এত উচ্চশিক্ষিত একজন মানুষ, নিজের ফ্লাটে মরে পড়ে আছে, দেখার কেউ ছিলো না! হায়রে জীবন! হায়রে শিক্ষা! হায়রে আলিশান জিন্দেগি! আল্লাহ তারে ক্ষমা করুক।’
কাওসার হামিদ লিখেন, ‘ইন্নালিল্লহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন!আমার জানামতে তিনি অত্যান্ত একজন জ্ঞানী এবং ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, শিক্ষাবিদ, লেখক, দ্বায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবি এবং প্রজ্ঞাবান মানুষ। আন্তর্জাতিক বিষয়, সমসাময়িক বিষয়ের উপর উনার ভালো জ্ঞান ছিলো। তার এ অস্বাভাবিক মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেবার নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।