মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে বিজেপির ছড়ানো ইসলাম বিদ্বেষ, মুসলিমদের ওপর অত্যাচার এবং হিন্দু-প্রথম নীতিকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতা-কর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে শনিবার বিক্ষোভ ও রোববার হরতালের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ।
বিক্ষোভকারীরা গুজরাট, কাশ্মীর, দিল্লি এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে মুসলিমদের হত্যার জন্য মোদির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে যে, ২০০২ সালে মোদি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ভারতের গুজরাটে এক হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যা করা হয়, তাদের বেশিরভাগই মুসলিম ছিল। ইসলামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের মাওলানা মামুনুল হক আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘তার সরকার বেশ কয়েকটি আইন পাস করেছে যা মুসলিমদের ভারতে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে তুলেছে। আমরা তাকে এখানে চাই না।’
বাংলাদেশের বহু সাধারণ মানুষ তিস্তা নদীর জন্য পানি ভাগাভাগির চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে ভারতের অনীহা নিয়েও খুব অসন্তুষ্ট। বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের শাসকরা ভারতকে আমাদের বন্ধু বলে ডাকেন, কিন্তু বিএসএফ (ইন্ডিয়ার সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী) প্রায়ই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আমাদের মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের দাঙ্গাবাজ, সাম্প্রদায়িক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানানো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’ উয়েজ উল্লাহ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনও তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ পায়নি। আমাদের নদী, বন্দর, সুন্দরবন সবই ভারতীয় আগ্রাসনের শিকার। ভারত বাংলাদেশের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।’
এ সপ্তাহের শুরুতে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন আল-জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘মোদির সফর সম্পর্কে মৌলবাদীরা কী বলছেন তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। তারা দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তিনি বলেন, ‘কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই তারা ইস্যু তৈরি করছে।’
আমেরিকার ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির পলিটিক্স এন্ড গভর্নমেন্ট-এর বিশিষ্ট অধ্যাপক আলী রিয়াজ আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অসম সম্পর্ক নিয়ে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণভাবে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের ঘরোয়া রাজনীতিতে ভারতের বিশাল প্রভাব রয়েছে। বিজেপি নেতাদের বাংলাদেশিদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য এবং মোদি সরকারের বৈষম্যমূলক নীতিও পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে।’ সূত্র: আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।