Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সেরে নিল রশিদ-নবিরা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের ২টি জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে আফগানিস্তান। গতকাল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে আফ্রিকার দলটিকে হারিয়েছে আফগানরা। প্রথমে ব্যাট করে আফগানরা তোলে ১৮৩ রান। জবাবে ১৩৬ রানের বেশি যেতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টি এমনিতেও দারুণ খেলে দেশটি। এদিকে এ বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য দারুণ প্রস্তুতি বলে মনে করেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ এবং দ্বিতীয়টিতে ৪৫ জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচে যেখানে ৪৫ বলে ৮৭ রানের ঝড়ে এক ইনিংস খেলেছিলেন ১৯ বছর বয়সী রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় ম্যাচে ২২ বছর বয়সী উসমান গণি করেছিলেন ৪৯ রান এবং ২৪ বছর বয়সী কারিম জানাতের ব্যাট থেকে এসেছিল ৫৩ রান। শেষ ম্যাচে ৩৫ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান।
টানা তিন ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে বড় সংগ্রহ ছুঁড়ে দিয়েছিল আফগানরা। আর সফরকারীদের কম রানে বেঁধে ফেলার কাজটা সারেন রশিন খান, নবিদের মতো স্পিনাররা। ফলে অভিজ্ঞদের সঙ্গে তারুণরা মিলে পারফর্ম করায় বিশ্বকাপে জন্য আফগানিস্তান দলে দারুণ একটি সমন্বয় ঘটছে বলে মনে করেন নবি। তাই তার কাছে বিশ্বকাপে প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ, ‘প্রতিটি সিরিজ আফগানিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সিরিজ জেতানো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি মনে করি এটি বিশ্বকাপের জন্যও ভালো প্রস্তুতি। আমরা তরুণদের সুযোগ দিয়েছি এবং আমরা এই তরুণদের (আরও বিকাশের জন্য) প্রত্যাশায় রয়েছি এবং আশা করছি বিশ্বকাপে আমাদের একটা ভালো দল থাকবে।’
বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোতে আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের ব্যাপক চাহিদা। বিশেষ করে রশিদ, নবি, মুজিবুর রহমানরা আইপিএল কিংবা বিগ ব্যাশের নিয়মিত পারফর্ম। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুবাদে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তারা, এটি জাতীয় দলে তরুণদের অনেক সাহায্য করেও বলে মনে করেন নবি, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট অনেকটা সহায়তা করছে যেহেতু এখানে মানসম্পন্ন বোলার এবং ব্যাটসম্যান রয়েছে। আমরা যখন জাতীয় দলে ফিরে আসি তখন আমরা সেই অভিজ্ঞতাটি এখানে নিয়ে আসি এবং সেই অভিজ্ঞতাগুলো তরুণদের সঙ্গে ভাগ করে নেই। ফলে এটি খেলার সময় সহায়তা করে।’
নবি আরো বলেন, ‘বেশিরভাগ সময় আমি ড্রেসিংরুমে তরুণদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ থাকি। আমি যেহেতু আমার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ তাই তারা তাদের সমস্যাগুলি ভাগ করে নেয় এবং তাদের ব্যাটিং এবং বোলিং সম্পর্কে খুব সহজেই আমাকে জিজ্ঞাসা করে। আমিও তাদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিই।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ