মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই দলে দলে বিরোধ বাড়ছে।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিতীয় দফায় আংশিক প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর এরপর সম্ভাব্য ভাঙনের মুখে পড়েছে মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর লক্ষ্যে আদা-জল খেয়ে নির্বাচনী মাঠে নামা দলটি।
রোববার বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হলেও তাতে নিজের নাম খুঁজে পাননি রাজ্য রাজনীতির ময়দানের হেভিওয়েট নাম শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই তারা বিজেপি ছাড়তে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন বের হয়েছে।
কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, প্রার্থীতালিকায় নিজের নাম না পেয়ে ইতোমধ্যেই দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রোববার আংশিক প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। তালিকায় একাধিক চমক থাকলেও তাতে নাম ছিল না শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতার কোনো একটি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
কারণ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার বেহালা পূর্ব আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি নেতা শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর শোভন-বৈশাখীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন রত্না। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি মনোনয়নই পেলেন না। হেভিওয়েট প্রার্থী হয়েও মনোনয়ন না পাওয়া অসম্মানজনকই বটে।
প্রকাশিত প্রার্থীতালিকা অনুযায়ী, বেহালা পূর্ব আসনে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে লেখা এই পোস্টে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আপনি সবসময় আমার আদর্শ হয়ে থাকবেন। আজকের অপমান আমাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না। আমরা লড়াই করবো, ঘুরে দাঁড়াবো। চক্রান্ত, বিশ্বাসঘাতকতা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। বেহালার মানুষ আপনাকে ভালোবাসে, এটাই আপনার সবথেকে বড় শক্তি।’
এই পোস্টের থেকে এটা কার্যত স্পষ্ট, বেহালা বা কলকাতার কোনো আসন থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী না করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বৈশাখী। পুরো ঘটনার পেছনে চক্রান্তও দেখছেন তিনি। অভিযোগ তুলছেন বিশ্বাসঘাতকতারও।
এদিকে ভোটের মুখে শোভন-বৈশাখীর প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি শিবির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।