মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতিবাদ, প্রত্যয়, জেদের আর এক নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে অগ্নিকন্যা, সেটা আবার প্রমাণ করলেন রোববার। হাজরা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘ভাঙা পা নিয়ে বাংলায় ঘুরে দাঁড়াবো। নিহত বাঘের চাইতে আহত বাঘ অনেক ভয়ঙ্কর। আমার শরীরের যন্ত্রণার থেকে গণতন্ত্র রক্ষার জেদ অনেক বেশি। স্বৈরাচারীদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করাই আমার কাজ। তাই আমি বাইরে বেরিয়েছি। নিহত বাঘের থেকে আহত বাঘ বেশি ভয়ঙ্কর’।
গতকাল নজির বিহীনভাবে হুইল চেয়ারে করে নন্দীগ্রাম দিবসের মিছিলে নেতৃত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই বলেন, বাঁধা গতের রাজনীতির চাইতে প্রতিবাদের রাজনীতিতেই তিনি সাবলীল। এদিন রাজপথে ব্যথা পা নিয়ে হুইল চেয়ার চেপে মিছিল করে সেটাই আবার তিনি প্রমাণ করলেন। ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ার পর সেখান থেকে তিনি সোজা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চলে আসেন। পায়ে প্লাস্টার নিয়েই তিনি চিকিৎসকদের অনুরোধ করে বাড়ি ফিরে আসেন। সেদিনই বাড়িতে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমার যন্ত্রণা থাকলেও আমি মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবো। আমি হুইল চেয়ারে করে সভায় যাবো। আমায় আপনারা একটু সহযোগিতা করবেন’। কথা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুইল চেয়ার করে বিশেষ জুতো পরে মিছিলে গেলেন। মিছিলের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে লিখলেন, ‘আমার পায়ে ব্যথা রয়েছে। কিন্তু মানুষের ব্যথা বেশি অনুভব করছি’।
নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর রোববারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বলেন, ‘সকলকে অভিনন্দন নন্দীগ্রাম দিবসে। আজ কৃষক দিবস। আমার আজ বলবার সময় কম। দুর্গাপুর যেতে হবে। সোমবার পুরুলিয়ায় অনুষ্ঠান আছে। আমি শুধু এইটুকু বলবো, আমার জীবনে অনেক আঘাত, সমস্যার মধ্যদিয়ে এসেছি। আমায় অনেকে জানতে চেয়েছেন দিদি আপনার যন্ত্রণা কেমন আছে? আমি বলি, আমি বেড রেস্ট নিলে বাংলার মানুষের কাছে দাঁড়াবে কে? আমি বলি, আমার শারীরিক যন্ত্রণা থেকে হৃদয়ের, গণতন্ত্রের যন্ত্রণা অনেক বড়। আপনাদের বলি, গণতন্ত্রের যন্ত্রণা স্বৈরাচারীদের হাত থেকে উদ্ধার করার কাজ করতে হবে। আমাকে ভরসা রাখুন। আমি ভাঙা পায়ে সারা বাংলা ঘুরে বেড়াবো। খেলা হবে। মনে রাখবেন নিহত বাঘের থেকে আহত বাঘ অনেক ভয়ঙ্কর। চক্রান্তকারীদের সফল হতে দেওয়া যাবে না। তাই আমি ভাঙা পা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমাকে সময়ে পৌঁছেতে হবে, তাই বেশি বললাম না। হাজরা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আবার হাজরায় আমাকে মারার চেষ্টা হয়েছে’।
এদিন তৃণমূল নেত্রীর পাশে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, মদন মিত্র , বিভিন্ন ধর্মের গুরুসহ তৃণমূলের নেতারা।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা যেন ‘তৃণমূল বি’
‘দলে থেকে কাজ করতে পারছি না’, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর আগে তৃণমূল নেতাদের ‘আপ্তবাক্য’ হয়ে উঠেছিল এই লাইনটাই। যদিও দলে থেকে কাজ করার বদলে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা জোরাল জেনেই যে এই দলবদল, তা প্রমাণ হয়ে গেল রোববার। তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, প্রবীর ঘোষালরা জল্পনা সত্যি করেই বিজেপি প্রার্থী হলেন। একইসঙ্গে আগের ধারা বজায় রেখে তৃতীয় ও চতুর্থ দফা ভোটের জন্য এখনও অনেক আসন ফাঁকা রেখে ৬৩ কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। যদিও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার দাবি উঠেছিল দলের অন্দরেই। কিন্তু গোষ্ঠীকোন্দলের দিকে নজর রেখেই ধীরেধীরে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে বিজেপি, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
অপরদিকে, বাবুল সুপ্রিয়, স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও নিশীথ প্রামাণিকের মতো চার হেভিওয়েট সাংসদকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। এতজন সাংসদকে কেন প্রার্থী করা হল, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, প্রতিটা কেন্দ্রে এখনও সম্ভাবনাময় মুখ খুঁজে পায়নি গেরুয়া শিবির। অথচ বাংলা জিততে মরিয়া বিজেপি। তাই সাংসদদেরই প্রার্থী করেও রীতিমতো বাজি ধরল বিজেপি। যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি বিজেপি নেতাদেরই কেউই। কিন্তু বাস্তবে বিজেপির প্রার্থী তালিকা বিতর্কের অবসান ঘটাতে পারল না। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিজেপির প্রার্থী তালিকাকে ‘তৃণমূল বি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সূত্র : নিউজ১৮, কোলকাতা২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।