মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান ৪৩ শতাংশ ভোটার । আর ২৪ শতাংশ ভোটার জানান তারা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে চান। জনসমীক্ষা সংস্থার (সিএনএক্স) সর্বশেষ রিপোর্টে এই তথ্য জানা গেছে।
সোমবার সর্বশেষ প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬৪টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১০২ থেকে ১১২ আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২২ থেকে ৩০টি আসন। সমীক্ষায় আরও বলা হয়, তৃণমূলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তৃণমূল পেতে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬ আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১১৩ থেকে ১২১টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২০ থেকে ২৮টি আসন। ১৫ ফেব্রুয়ারির পর ৮ মার্চের সমীক্ষা রিপোর্টে তৃণমূলের আসন বাড়া এবং বিজেপির আসন কমার ইঙ্গিত মিললেও ১৫ ফেব্রুয়ারির পর এই ৮ মার্চের সমীক্ষা রিপোর্টে বাম ও কংগ্রেস জোটের আসন বাড়ারও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি দেয়া হয়েছিল ২০ থেকে ২৮টি আসন পেতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট। আর ৮ মার্চ দেয়া হয়েছে ২২ থেকে ৩০টি আসন পেতে পারে তারা।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১১৭টি আসনের ৯ হাজার ৩৬০ জন ভোটারের মধ্যে ১৫ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টের চেয়ে এবার তৃণমূলের আসন বাড়া এবং বিজেপির আসন কমার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে সমীক্ষায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভার প্রতিক্রিয়া ও রাজ্যব্যাপী তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি আনা হয়নি। সমীক্ষা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এবার তৃণমূল ভোট পেতে পারে ৪২ শতাংশ, বিজেপি পেতে পারে ৩৪ শতাংশ আর বাম কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২০ শতাংশ। তবে এই হিসাবে বাম-কংগ্রেস জোটে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর গড়া ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ দলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাম-কংগ্রেস জোটে আইএসএফ যুক্ত হওয়ায় এই জোটের আসন আরও বাড়তে পারে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ২১১ আসন, বাম-কংগ্রেস জোট ৭৭টি আসন আর বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৩টি আসন। সমীক্ষায় আরও বলা হয়, ৪০ শতাংশ ভোটার রাজ্যের বিধায়কদের কাজ ‘খারাপ’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভালো বলেছেন ২২ শতাংশ ভোটার। ৪৩ শতাংশ ভোটার বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদির চেয়ে বেশি ভালো। আর ৪২ শতাংশ ভোটার বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে বেশি ভালো। ৩০ শতাংশ ভোটার বলেছেন, গত ১০ বছরে মমতার কাজে তারা খুব সন্তুষ্ট। ৩২ শতাংশ ভোটার বলেছেন তারা অসন্তুষ্ট। তৃণমূল বিজেপিকে বহিরাগত দল বলে যে প্রচার চালাচ্ছে, তাতে তাদের লাভ হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ৩৬ শতাংশ ভোটার হ্যাঁ বলেছেন। আর ৩৫ শতাংশ ভোটার না বলেছেন। সূত্র : এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।