মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত কৃষি আইনবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে একটি ফসল উৎসর্গে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। এর ফলে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, দিল্লির সীমান্তের প্রতিবাদ প্রত্যাহার হচ্ছে না। হয় কৃষকরা একটি ফসলের ক্ষতি মেনে নেবেন বা কৃষকরা ফসল তোলার জন্য আরো শ্রমিকের সাহায্য নেবেন। কিন্তু প্রতিবাদের স্থানগুলো খালি করা হবে না বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন নেতা।
হিশার মহাপঞ্চায়েতে রাকেশ টিকাইত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘রেল রোকো’র পরে, ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন এখন ট্র্যাক্টর নিয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে।
দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের সহিংসতার পর ‘পাঞ্জাবের কৃষকরা কেবল প্রতিবাদ করছেন -সরকারের এ দাবি প্রতিরোধের জন্য মহাপঞ্চায়েতের মাধ্যমে অন্য রাজ্যগুলো থেকে আরও বেশি সমর্থন অর্জনের দিকে বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু স্থানান্তরিত হয়েছে। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান ও পাঞ্জাবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কিষাণ সভাগুলোর বেশ কয়েকটি মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শচীন পাইলট এসব সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।
বিয়েতে বিজেপি নেতাদের ডাকবেন না, এমন নির্দেশই দিয়েছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের জাতীয় সভাপতি নরেশ টিকাইত। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরে মহাপঞ্চায়েতে টিকাইত বলেছেন, যারা বিজেপি নেতাদের নেমন্তন্ন করবেন, তাদের পরের দিন ১০০ জন বিকেইউ নেতাকে খাওয়াতে হবে।
ঠিক কী বলেছেন নরেশ তিকাইত? তার কথায়, ‘যদি আপনারা চান, আমি নির্দেশ হিসেবে এটা পাস করতে পারি। এটা নির্দেশ বা পরামর্শ হিসেবে ভাবুন। কিন্তু, কেউ তাঁদের (বিজেপি নেতা) আমন্ত্রণ জানাবেন না। যারা আমন্ত্রণ জানাবেন, তাদের পরের দিন ১০০ জনের জন্য খাবার পাঠাতে হবে’। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে নরেশ বলেছেন, মহাপঞ্চায়েতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটা বয়কট হিসেবেও বলা যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, যদি বিজেপি নেতাদের অসম্মান করা হয়, তাহলে তারা ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন। তাই, আমি বলেছি, তারা বাড়িতেই খুশিতে থাকুন...কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদও চলতে থাকবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ১১ বার মোদি সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি হয়েছেন কৃষকরা। তিন কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে, এ দাবিতে এখনও অনড় তারা। তাদের ওই দাবির পরিবর্তে ১২-১৮ মাসের জন্য নয়া আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার। কিন্তু, তা মানতে নারাজ দেশের অন্নদাতারা। কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, ‘২ অক্টোবর পর্যন্ত সময়। তার মধ্যে আইন প্রত্যাহার না করা হলে কৃষকরা অন্য রাস্তা বেছে নেবেন’। কেন্দ্রের তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে রেল রোকো কর্মসূচি করেন কৃষকরা। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এ কর্মসূচি। কৃষক বিক্ষোভ সামাল দিতে দেশজুড়ে অতিরিক্ত ২০ কোম্পানি আরপিএসএফ বাহিনী মোতায়েন করে রেল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন রেল স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।