পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
প্রতি নির্বাচনের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে আলোচনা পর্যালোচনা চলে। প্রেসিডেন্ট পদে কে বিজয়ী হলে পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিশ্লেষণ করেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে যেই ব্যক্তিই নির্বাচিত হোন না কেন, পররাষ্ঠ্রনীতি বরাবরই অপরিবর্তনীয় থাকে । একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে যে দলই শাসন করুক না কেন পররাষ্ট্রনীতিতে কোন পরিবর্তন আসে না। মুলতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বরাবরই এক এবং অভিন্ন । কখনো যদি কোন নীতি পরিবর্তন হয় , তাহলে তা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে স্বত:স্ফুর্ত কোন পরিবর্তন নয় বরং সেটা হচ্ছে বিশ্বপরিস্থিতির পরিবর্তনের কারনে বাধ্য হয়ে নীতি পরিবর্তন করা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের জয় পরাজয়ের ফলে মার্কিন নীতিতে উল্লেখযোগ্য এমন কোন পরিবর্তন আসে না, যার ফলে বিশ্ববাসীর জীবন পরির্বতন হয়। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রাটদের ক্ষমতার পালাবদলের কারনে মার্কিন বিদেশ নীতিতে যা পরিবর্তন হয় তা এতই নগন্য যে , এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কোন উপকার হয় না । সুতরাং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের পরিবর্তনের কারণে বিশ্ববাসীর ফলাফলে পরিবর্তন হবে এমনটি ভেবে আত্মতৃপ্তি লাভের কোন প্রয়োজন নেই।
যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর একক পরাশক্তি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি । বিশ্বব্যাপী শান্তি এবং অশান্তি প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে তার ভুমিকা তাই সবচেয়ে বেশী । সুতরাং তাকে নিয়ে বিশ্ববাসীর কৌতুহলের যেমন শেষ নেই , ঠিক তেমনি তার কাছ থেকে বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা ও অনেক বেশী। কিন্তু বাস্তবতা একটু ভিন্ন । কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী মার্কিন আগ্রাসন বন্ধ হবে না এবং ইরাক, আফগানিস্তান , সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারও হবে না। ফিলিস্তিন, লেবাননে ইসরাইলী আগ্রাসনও বন্ধ হবে না আবার ফিলিস্তিন স্বাধীনও হবে না । জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে এবং ইসরাইলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রদানও বন্ধ হবে না । ইরানের পরমানু কর্মসুচীকে ধ্বংসের জন্য মার্কিন চেষ্টা ও বন্ধ হবে না, রাশিয়া এবং চীনকে প্রতিহত করার জন্য তাদের তৎপরতাও বন্ধ হবে না । চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্য যুদ্ধ আগের মতই চলবে। একইভাবে কিউবা এবং ল্যাটিন আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কেরও কোনো পরিবর্তন হবে না। উত্তর কোরিয়া এবং ভেনিজুয়েলার প্রতি বৈরিতা আগের মতই অব্যাহত থাকবে । মিয়ানমারের নির্যাতিত নিপিড়ত রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভাগ্যেরও কোন পরিবর্তন হবে না এবং নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত এসব মুসলমান নিজ দেশে ফিরতে পারবে বলেও মনে হয় না । যুক্তরাষ্ট্র আজ বাগদাদে প্রতিষ্টা করেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুতাবাস , যার মাধ্যমে ইরাকের রাজনীতি মার্কিনীরা নিয়ন্ত্রন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী লিবিয়ায় আগ্রাসন চালিয়ে লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফিসহ অসংখ্য মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ইরাকের মতই লিবিয়ার সবকিছুই এখন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্বের নিয়ন্ত্রনে। ওরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে লিবিয়ার সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। সত্যিই কথা হচ্ছে এককালের স্বাধীন সার্বভৌম লিবিয়া এখন বহুদা বিভক্ত একটি র্ব্যথ রাষ্ট্র । যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব র্দীঘদিন ধরে তাদের এবং ইসরাইলের দীর্ঘদিনের শত্রæ সিরিয়ায় সরকার পরিবর্তনের যুদ্ধে লিপ্ত । সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে পরিবর্তনে বিশ্বে তেমন কোন পরিবর্তন আসে না এবং বিশ্বের সবকিছু আগের মতই চলে ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটরা পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে এবং কোনকালেই দল এবং ব্যক্তির কেউ একটানা তিন টার্ম ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারেনি। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া গড়ে প্রায় দুই র্টাম বা আট বছর পরপর ক্ষমতায় পরিবর্তন এসেছে । সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকনরা পর্যায়ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রকে শাসন করেছে । আর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন তার বিদেশ নীতি অপরিবর্তিত থাকে এবং তেমন কোন পরিবর্তন আসে না। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তি হয়েছে। কিন্তু সেই ১৯৪৫ সালে জাপান ,জার্মানি ও ইতালীর পরাজয়ের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত সেই সব দেশ পুর্নগঠন ও নিরাপত্তার নামে মার্কিনীরা সেখানে যে সৈন্য মোতায়েন এবং ঘাঁটি করেছিল --তা কিন্তু এখনো রয়ে গেছে এবং সেই সৈন্য প্রত্যাহারের আদৌ কোন সম্ভাবনা নেই । ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের আগে সমগ্র আরব জাহানে , এমনকি সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কোন দেশেই একজন মার্কিন সৈন্য ছিল না। কিন্তু আজ অনেক মুসলিম দেশে মার্কিন সৈন্যদের ঘাঁটি রয়েছে। যেসব দেশ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, বাহরাইন, কুয়েত, জর্ডান, কাতার , সৌদি আরব , ওমান ,আরব আমিরাত, ইয়েমেন, জিবুতি, মিসর, তুরস্ক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, ইরাক ও সিরিয়া । ১৯৯১ সালে কুয়েত মুক্তির নামে এবং সাদ্দামের হাত থেকে সউদী আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, আমিরাত প্রভৃতি দেশকে তথাকথিত রক্ষার নামে সেই সব দেশে মার্কিনিরা তখন যে সৈন্য মোতায়েন ও সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছিল, কুয়েত মুক্তির এতটা বছর পেরিয়ে গেলে ও এমনকি তথাকথিত তাদের সেই ভয়ের উৎস সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে ফাঁসি দিলে ও মার্কিনীরা কিন্তু সেই সব দেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেনি এবং ভবিষ্যতে ও করবে না । অথচ আজ তো সাদ্দামের পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র হুমকি নেই। তাহলে এসব দেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে না কেন ? তাহলে এসব দেশ থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কি কোন সম্ভাবনা নেই ? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, এসব দেশ থেকে মার্কিন সৈন্য অবশ্যই প্রত্যাহার হবে আর সেটা নির্ভর করছে এসব দেশের জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রামের ওপর। যদি এসব দেশের জনগনের প্রতিরোধ আন্দোলনের কাছে মার্কিনীরা পরাস্ত হয় এবং তারা যদি সৈন্য প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রকে বাধ্য করতে পারে তাহলে এবং তখনই কেবল যুক্তরাষ্ট্র এসব দেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করবে। যেমন আফগান মুজাহিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের কাছে পরাজিত হয়েছিল বলেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছিল। ঠিক একইভাবে ভিয়েতনামীদের প্রতিরোধ যুদ্ধের কাছে পরাজিত হয়েছিল বলেই যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হয়ে ভিয়েতনাম থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছিল। ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্র কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরনী উল্লেখ করছি। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনাম যুদ্ধে পেন্টাগনের হিসাব মতে ৫৮১৮৩ জন মার্কিন সৈন্য নিহত হয় এবং ৩৬৮৯ টি বিমান এবং ৪৮৫৭ টি হেলিকপ্টার খোয়া গেছে। আমেরিকা ভিয়েতনামে ১ কোটি ৫০ লাখ টন বোমা ফেলেছে । ভিয়েতনামে নিহত হয়েছে সৈন্য এবং গেরিলা মিলে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ভিয়েতনামী। প্রায় ৪০ লাখ বেসামরিক মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। নিখোজ হয়েছে তিন লাখ ভিয়েতনামি এবং ২২০০ আমেরিকান।এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ব্যয় হয়েছে তৎকালিন হিসাবে প্রায় ১৬৫ বিলিয়িন মার্কিন ডলার।
যে সমস্ত মানুষ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ব্যক্তির পরিবর্তনে বিশ্বে শান্তির পক্ষে পরিবর্তন হবে , তাদের সেই আশা পুরণ হবে না । যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিটি একজন অত্যন্ত যোগ্য এবং ভাল মানুষ । অতএব তিনি বিশ্বে আগ্রাসন এবং যুদ্ধ বন্ধ করবেন। তিনি বিশ্বে হানাহানি বন্ধ করবেন এবং শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত করবেন। কিন্তু বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে এর কোনটাই হবে না এবং তিনি চাইলেও সেটা করতে পারবেন না । এর প্রকৃত কারণ হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং তাকে পুরো একটি টিম নিয়েই কাজ করতে হয় যাদের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের অতীত ঐতিহ্য এবং চলমান নীতিতে বিশ্বাসী। যাদের চিন্তা, চেতনা, সংস্কৃতি, আদর্শ ও রীতিনীতি আবহমান কাল ধরেই চলে আসা যুক্তরাষ্ট্রের মুলনীতিরই অংশ। ভাইস প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী পরিষদ, কংগ্রেসম্যান, সিনেটর, প্রতিরক্ষাবাহিনী ও গোয়েন্দাবাহিনী সহ সকলেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান নীতি এবং সংস্কৃতিরই ধারক বাহক। তাদের সবার মতামতকে উপেক্ষা করে এবং এদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রেসিডেন্টের পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা কখনোই সম্ভব হয় না । সুতরাং প্রেসিডেন্টের পক্ষে ভিন্ন অবস্থান গ্রহন করা কখনোই সম্ভব নয়।
পরিশেষে বলতে চাই, যুক্তরাষ্টের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যটদের মধ্যে মুলতপক্ষে তেমন কোন পার্থক্য নেই । তাই তাদের ক্ষমতারোহন এবং ক্ষমতা থেকে বিদায়ে বিশ্বের রাজনীতিতে কোন প্রভাব পড়ে না । ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে এবং স্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের এই র্দীঘ ইতিহাসকে যদি পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে, এর প্রায় অর্ধেক সময় শাসন করেছে রিপাবলিকানরা এবং বাকী অর্ধেক সময় শাসন করেছে ডেমোক্র্যটরা । কিন্তু উভয়ের শাসনামলেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি একই ছিল। সাম্রাজ্য ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উভয়ের পলিসি একই । আর মুসলমানদের বেলায় তো একেবারেই অভিন্ন। ১৯৪৭ সাল থেকেই ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন নির্যাতন চালিয়ে আসছে।এই নির্যাতনের মাত্রা ডেমোক্র্যট আর রিপাবলিকান-- উভয়ের শাসনামলেই সমান। ফিলিস্তিনিদের প্রতি মার্কিন আচরন বরাবরই এক এবং ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ও ইসরাইলের পক্ষে জাতিসংঘে সবসময় ভেটো প্রয়োগ করে আসছে। বসনিয়ার মুসলমানদের বিরুদ্ধে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সালে সার্বদের পরিচালিত ভয়াবহ নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞে কয়েক লক্ষ নিরাপরাধ মুসলমান র্মমান্তিকভাবে মৃত্যুবরন করেছিল।সেদিন কিন্তু নিরাপরাধ মুসলমানদেরকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ কেউই এগিয়ে আসেনি। কাস্মীর এবং চেচনিয়ার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কিন্তু একই। পাকিস্তান এবং ইরানের পরমানু কর্মসুচীর বিরুদ্ধে ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান একই। ইসরাইলকে সমর্থনের ব্যাপারে অবস্থান ও একই। তাহলে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যটদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্যটা কোথায়?
লেখক : প্রকৌশলী ও উন্নয়ন গবেষক ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।