মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের হাই কমান্ড ১৯৯৯ সালের ভারত-পাকিস্তানের কারগিল যুদ্ধ এবং গত বছরে চীনের সাথে সংঘর্ষগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের শক্তিকে শাণিত করছে। দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য শীতল-আবহাওয়া ঠেকাতে ভাল মানের পোশাক কেনা হয়েছে, গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল বিভাগকে প্রয়োজনে একসাথে কাজ করার জন্য একটি যৌথ প্রতিরক্ষা পরিষেবা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সাথে এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্রের ৫ টি এস-৪০০ ব্যাটারি উপলব্ধ করার জন্য ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে। দেশটি ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট কেনার জন্যও আলোচনা চালাচ্ছে। এই বিভিন্ন ইউনিট কীভাবে একে অপরের সাথে কাজ করবে এবং একটি সম্পূর্ণ আকাশ প্রতিরক্ষা নির্মানে সংযুক্ত হবে, তা দেখা ভবিষ্যতে দেখার রয়েছে, তবে এই দ্রুত অস্ত্র আধুনিকীকরণ কর্মসূচি যে কোনও আসন্ন সংঘর্ষে সত্যিকারের পার্থক্য ঘটাতে পারে।
আমেরিকা-ভারত কূটনৈতিক সহযোগিকতার অংশ হিসেবে আমেরিকা সম্প্রতি ভারতকে মার্কিন জিওস্পেসাল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার, এনক্রিপ্ট করা যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অত্যাধুনিকতম যন্ত্রপাতি কেনার অনুমতি দিয়ে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারতের জন্য ওভারল্যান্ড রিকনেসেন্স বিমান, এ্যাটাক হেলিকপ্টার, হেভি লিফ্ট চপার, যুদ্ধক্ষেত্রগুলিতে সৈন্যদের দ্রুত পৌঁছানোর জন্য স্ট্র্যাটেজিক ট্্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট।
ভারত তার ড্রোন শক্তিকে আরও জোরদার করছে। দেশটি তার প্রধান সরবরাহকারী ইসরায়েলের কাছ থেকে আরও অত্যাধুনিক ড্রোন কিনছে। ইতিমধ্যে ৯০ টি ইসরায়েলি হেরন ড্রোন ভারতের রয়েছে এবং কমপক্ষে ২০ টি আমেরিকান এমকিউ-৯ রিপার আর্ম্ড ড্রোন কেনার পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ভূখন্ডের বিস্তীর্ন অঞ্চলগুলি স্ক্যান করতে সক্ষম, মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করতে এবং প্রয়োজনে ঘটনাস্থলে সম্ভাব্য লক্ষ্যকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
এগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লাদাখে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখতে সহায়তা করবে। তবে এই হিম শীতল দুর্গম অঞ্চলে বিশাল সেনাবাহিনীকে খাওয়ানো ও রসদ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে গুরুতর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বহু বছর ধরে, চীন এবং ভারত উভয়ই সত্যিকারের নিয়ন্ত্রণ সীমার উভয় পাশে তাদের রাস্তা এবং সেতুগুলি উন্নত করে চলেছে। অত্যাধুনিকতম সমর শক্তি, পর্যাপ্ত রসদ ও অত্যাধুনিক বাহিনী ছাড়াও ভূতাত্বিক দিক থেকেও চীনের সুবিধা রয়েছে।
যে কোনও সামরিক বাহিনীর জন্য যুদ্ধকালীন উচ্চ মাত্রার প্রয়োজনীয় রসদ ও গোলাবারুদের সরবরাহ বজায় রাখার জন্য সীমান্তবর্তী রেলপথগুলির সাথে দ্রুত গতির রেল যোগাযোগ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন তার সীমান্ত সংলগ্ন রাস্তাগুলির ব্যাপক উন্নতি করেছে এবং শীতকালীন তাপমাত্রা -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-২২ ফারেনহাইট)-এ খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য তার সেনাবাহিনীর থাকার ব্যবস্থাগুলিকে উত্তপ্ত রাখার ব্যবস্থা করেছে।
লাদাখের দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চল ভারতের সড়ক উন্নয়নকে প্রতিকূল করে দিয়েছে। পাশাপাশি, বেশিরভাগ খাবার পানির উৎস হিমায়িত হয়ে থাকার ফলে এটি এ অঞ্চলে চীনের সাথে দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য একটি হানিকর সিদ্ধান্ত। বিশেষত উত্তর লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহে। হেলিকপ্টারগুলি হিমায়িত বায়ুমন্ডলে ভারতীয় বাহিনীর প্রযোজনীয় রসদের অতি সামান্যই বহন করতে সক্ষম।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সাড়ে ৪ হাজার ৫ শ’ মিটারের সমভ‚মিটি সিয়াচেন গ্লেসিয়ার এবং আকসাই চীনের মধ্যে অবস্থিত এবং দু’দেশের মধ্যে যে কোনও সম্ভাব্য যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু। তবে দুই পরাশক্তি চীন ও ভারতের মধ্যে একবার যুদ্ধ শুরু হলে, শুধু সুউচ্চ কারাকোরামেই নয়, সেই যুদ্ধ ভারত মহাসাগরেও ছড়িয়ে পড়বে। যেখানে যুদ্ধের ভারসাম্য রক্ষার জন্য নৌশক্তি অত্যাবশ্যক। সূত্র : আল জাজিরা। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।