মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিরাজদৌলা দেশকে ভালোবাসতেন। মীরজাফর কথা শোনেনি। দেশের সাথে গাদ্দারি করেছিল। ইতিহাস টেনে সিরাজের জেলায় তথা অধীর চৌধুরীর গড়ে এভাবেই দলত্যাগীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের জনসভা থেকে যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ইতিহাসের পুনরাবর্তনে তিনি সেই সিরাজ, যদিও হার নয়, তার জন্য অপেক্ষমান- জয়। নিজেকে বাঘিনীর সঙ্গেও তুলনা করেন মমতা।
এ দিন দলত্যাগী রাজীব-শুভেন্দুদের জন্য মমতার গলায় প্রথম থেকেই তীব্র বিদ্রæপ। তিনি বলেন, ‘দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। যারা বিজেপি করবেন মনে করেন তারা চলে যান। আমার কিছু যায় আসে না। আমি দলকে টাকায় বেচে দেইনি। দুর্নীতিপরায়ণ লোকেরাই দুর্নীতির কাছে মাথা বেচে দেয়’। মমতার উবাচ, ‘দুর্নীতি করে মনে হয়েছে গরু, কয়লা কেসে চুরি করে ধরা পড়ি। তাই কালো হয়ে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাদা হচ্ছে’।
শুভেন্দু অধিকারী আজকাল মঞ্চে সেøাগান তোলেন, কৃষ্ণকৃষ্ণ হরে হরে বিজেপি ঘরে ঘরে। নাম না করে তাকে কটাক্ষ করেই মমতা বললেন, মুখে বলে হরি হরি, আর সাধারণ মানুষকে খুন করি, পকেট চুরি করি। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরে হরে। তৃণমূল, শান্তি ঘরে ঘরে।
নিরাপত্তা-সুরক্ষা এ প্রশ্নগুলোতেই এদিন জোর দিচ্ছিলেন মমতা। তার যুক্তি, জেলায় মহিলারা সুরক্ষিত। মা-বোনেরা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এ স্বাধীনতা বাংলা ছাড়া অন্য কোথাও নেই। মমতার কথায়, বিজেপির রাজ্যে যান, দেখুন কী অবস্থা? বাংলার মতো সম্মান কেউ পায় না।
কথায় কথায় ভোট পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন মমতা। বললেন, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল একজন এমএলএ প্রথমে পাইনি। গত ভোটে আমায় দুটো লোকসভা দিয়েছেন। আগামী দিনে আপনাদের ভোটে আমাদের সরকার হবে, কোনো ভয় না পেয়ে, সব ভোট টিএমসিকে দিন।
আত্মশক্তির কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, আমি মার খেতে খেতে এ জায়গায় এসেছি। আমি গুন্ডা, দাঙ্গাবাজদের সাথে লড়াই করতে পারি। আমাকে চমকালে মানুষ তাদের ধমকায়। মমতার স্পষ্ট কথা, আগামী দিনে বাংলার সরকার গড়তে এ জেলার ভোট চাই।
তাকেই নিশানা করেছে কেন্দ্র। অকুতোভয় মমতা সভামধ্যেই বলে ওঠেন, ‘আমি যতদিন বাঁচব রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব। আমি এনপিআর করতে দেব না। আমায় টাকা দেয় না। সারাক্ষণ আমার পেছনে লেগে আছে। আমিও শক্তিশালী। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। দেখান আপনি কোন সরকারি কর্মী মাইনে পায়নি। আপনি বেচে দিচ্ছেন সব। দলবদল করলে চোরেদের, ডাকাতদের জোটে নিয়ে যাচ্ছে। আর পরিযায়ী শ্রমিকদের না আছে বাস না আছে ট্রেন’। সূত্র : নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।