মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একুশের ভোটে আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল। গতকাল সোমবার বিধানসভা ছাড়ার আগে এমনই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ দিনের বিধানসভা অধিবেশনে প্রথা মেনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী-বিধায়কদের সঙ্গে ছবি তোলেন। ছবি তোলার পরেই বিধায়কদের সামনে আত্মবিশ্বাসের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আই উইল বি ব্যাক’।
বিধায়কদের সঙ্গে ছবি তোলার শেষে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভিকট্রি চিহ্ন দেখিয়েছেন। পরে তিনি বলেন, ‘আমি নাকি আর ফিরব না। অনেকে এমনই বলছেন। বাট আই উইল বি ব্যাক’। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফটো সেশনে বাম ও কংগ্রেসের কোনো বিধায়ককেই দেখা যায়নি। তবে বিজেপি বিধায়কদের এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গেছে।
জমে উঠেছে একুশের লড়াই। বিধানসভা ভোটের আগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। কোমরবেঁধে প্রচার-যুদ্ধে ডান-বাম সব পক্ষ। একদিকে ‘উন্নয়ন’-কে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সচেষ্ট শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে একুশের ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। শাসক-শিবিরের বেশ কয়েকজন বিধায়ক-নেতা ইতোমধ্যেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। বিধানসভা ভোটের আগে যা বাড়তি শক্তি জুগিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এদিকে, ভোট ময়দানে বাম কংগ্রেসও। নিজেদের মধ্যে জোট করে একুশের লড়াইয়ে ময়দানে দুই দল।
বিজেপি-তে যাওয়া দুই বিধায়কের সাক্ষাৎ মমতার সঙ্গে
বিজেপি থেকে কি ফের তৃণমূলে ফিরছেন দুই দলত্যাগী বিধায়ক। গতকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার ঘটনাক্রম থেকে সেরকমই জল্পনা বাড়ল রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া দুই বিধায়ক সুনীল সিং এবং বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে এই জল্পনা ছড়িয়েছে। কারণ উত্তর চব্বিশ পরগণার দুই বিধায়কই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে দেখা করে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। যদিও দুই বিধায়কই প্রকাশ্যে একে সৌজন্য সাক্ষাৎই বলে দাবি করেছেন। দুই বিধায়কের মধ্যে বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক। আর সুনীল সিং নোয়াপাড়ার বিধায়ক। সুনীল সিং আবার সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর শ্যালক। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে বেরিয়ে দুই আঙুলে ‘ভিক্ট্রি’ সাইনও দেখিয়েছেন সুনীল। মনে করা হচ্ছে, সুনীল-বিশ্বজিতের তৃণমূলে ফেরা হয়তো সময়ের অপেক্ষা। আর শেষ পর্যন্ত সেটা হলে তা বিজেপি-র কাছেও নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা হতে চলেছে। সূত্র : কলকাতা২৪ ও নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।