Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমারে কর্মবিরতির ডাক, জোরদার হচ্ছে আন্দোলন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৪১ এএম

দিন যত যাচ্ছে, ততই জোরদার হচ্ছে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলন। আজ সোমবার আরো বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে সব সরকারি দপ্তরে কর্মবিরতি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি বলা হয়। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০০৭ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গণতন্ত্রপন্থি জাফরান বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে মিয়ানমারে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটির হাজারো মানুষ গণবিক্ষোভ করছেন।বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নারী ও পুরুষ রয়েছেন। তাদের অনেকেই বয়সে তরুণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নেটওয়ার্ক বন্ধ করায় বিক্ষোভকারীরা ভিপিএন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে বেরিয়ে এসে গণবিক্ষোভ যোগদান করতে বলা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ছবি নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তারা লাল রঙের পোশাক পরে আন্দোলন করছেন। সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পতাকার রং লাল।
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত এনএলডির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। একই দিন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে।
সেনাশাসনের সাত দিন পেরিয়েছে। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণই রয়েছে। ১৯৮৮ এবং ২০০৭ সালের মতো দমনপীড়নের ঘটনা ঘটেনি। তবে গতকাল ইয়াঙ্গুনে বেশকিছু সেনা ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে বদলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশটির ৩০টি শহরের প্রায় ৭০টি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সেনা অভ্যুত্থানের দুদিন পরেই কর্মবিরতির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন। পরে তাতে যুক্ত হন ইয়াঙ্গুনসহ কয়েকটি শহরের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। পরে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদেরও অনেকে এই আন্দোলনে যোগ দেন।
আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় মিন কো নাইং বলেছেন, ‘সব সরকারি দপ্তরের কর্মীদের সোমবার থেকে কাজে না যোগ দেওয়ার অনুরোধ করছি।’ এই মিন কো নাইং ১৯৮৮ সালে অং সান সু কিকে সামনে আনেন। ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান অং সান সু চি।
এছাড়া দেশটির সামরিক জান্তার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলের সোচ্চার অবস্থান ক্রমেই আরো জোরদার হচ্ছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অনেক দিক থেকেই সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং অং সান সু চির মুক্তি দাবি করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আন্দোলন

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ