গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রণীত নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক চালু করার সঙ্গে সঙ্গে দেশব্যাপী বিভিন্ন মহল থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠেছে। বিভিন্ন মহল থেকে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হচ্ছে এই শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস ও ঈমান আক্বিদার পরিপন্থী। বিশ্ব কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত বিবর্তনবাদের মত নাস্তিক্যবাদী চিন্তা-চেতনার উপর ভিত্তি করে এই শিক্ষা ক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হয়েছে। যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মহীন সেকুলার ও নাস্তিক হিসেবে তৈরি করবে। যা এ দেশের কোন দেশ প্রেমিক সচেতন নাগরিকের কাম্য নয়। অবিলম্বে বিতর্কিত সমস্ত বই বাতিল করে নতুন বই ছাপিয়ে দ্রুত ছাত্র সমাজের হাতে তুলে দিতে হবে। আজ শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। সেমিনার ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সেক্রেটারী জেনারেল মোস্তফা তারেকুল হাসান,ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা এরশাদ উল্যাহ ভূইয়া, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর ময়নুল হক, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নায়েবে আমীর ডক্টর মাওলানা মুহাম্মাদ এনামুল হক আজাদ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমাদ, আন্দোলনের শূরা সদস্য মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, ভোলা লালমোহন ডাক্তার আজহারউদ্দিন কলেজের প্রভাষক মো. ইকবাল হুসাইন, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আন্দোলনের ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. আবু বকর সিদ্দিক।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এক নজরে প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা ক্রমের দিকে তাকালে সুস্পষ্ট ভাবে মনে হয় এতে এ দেশের মানুষের চিন্তা চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি বরং দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মহীন নাস্তিক বানানোর জন্য সুপরিকল্পিত ভাবে গণবিরোধী কোন শক্তি এই কাজটি করেছে। এদেশের মাটি ও মানুষের বিশ্বাস , ইতিহাস, ঐতিহ্য ও চিন্তা চেতনার সাথে সম্পৃক্ত করে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা এখন সময়ের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী এবং পাঠ্য পুস্তক প্রণয়ন এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণ তাদের ভুল স্বীকার করে বিবৃতি ও দিয়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত শুধু পাঠ্যপুস্তকের দুএকটি বিষয় সংশোধন নয়, শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে এদেশের মানুষের ঈমান আক্বিদা অনুযায়ী পুনঃবিন্যাস করে শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এখন আশু প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।