Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাস এদেশে চলতে পারে না ইসলামী আন্দোলন বাংলদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:২৮ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, শিক্ষা সিলেবাস সংশোধন করে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা-চেতনা অনুযায়ি করতে হবে। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাস মুসলমানের দেশে চলতে পারে না। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সিলেবাসে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী থিওরী সংযোজন করে দেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত দেশের মুসলমানরা রুখে দাঁড়াবে। যেভাবে সিলেবাস সাজানো হয়েছে, তা কোনভাবেই মুসলমানদের শিক্ষা সিলেবাস বলার সুযোগ নেই। এ যেন পাশ্ববর্তীদেশের সিলেবাস। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার যে নীল নকশা শুরু হয়েছে, তা থেকে অবশ্যই সরকারকে ফিরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভয়াবহ চক্রান্তের পথ থেকে সরে না দাঁড়ালে দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান। মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশের মানুষকে নাস্তিক-মুরতাদ বানাবার সকল ষড়যন্ত্র চূড়ান্ত। শিক্ষা সিলেবাসকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সিলেবাসে। তিনি বলেন, ডারউইনের মতবাদের মাধ্যমে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে বানর বানাবার চক্রান্ত হচ্ছে। তিনি শাসক শ্রেণির কাছে অনুরোধ করে বলেন, দেশের মানুষকে নাস্তিক বানাবার পথ পরিহার করুন। তিনি সিলেবাস পরিবর্তন করে নতুনভাবে বই ছাাপিয়ে পুনরায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামী আন্দোলন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ