Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

দুর্ভোগের শেষ কোথায়

নাটোরের গুরুদাসপুর থানার বিয়াঘাট ইউনিয়নের অন্তর্গত কুমারখালী গ্রামের উত্তরপাড়ায় রাস্তার দু’ধারে সবুজে ঘেরা প্রায় ৯০০ একরের বিশালাকার মাঠ। যাকে আশ্রয় করে প্রায় ৩ হাজার কৃষকের সংসার চলে। যেখানে বর্ষার সময়ে পানি থৈ থৈ করে আর অন্য মৌসুমের বিভিন্ন ফসলে কৃষকদের আনন্দের সীমা থাকে না। কিন্তু সবুজের সেই চিরচেনা রূপ ও তাদের শেষ সম্বলটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি রাস্তার একপাশে পুকুর খনন করে চিরচেনা রূপটি বিনষ্ট করছে। জলাশয়টি ভরাট করার ফলে অবশিষ্ট জমি সারাবছর জলাবদ্ধতায় থাকে। দুঃখের বিষয়, কৃষকদের একমাত্র ভরসা রাস্তার অপর অংশের মাঠটিতেও কিছু অসাধু লোক পুকুর খনন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সাধারণ জনগণ এতে বাধা দেওয়া সত্তে¡ও কোনো ইতিবাচক ফল পাচ্ছে না। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। সুতরাং গ্রামের সাধারণ কৃষকদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. জাহিদুল হক
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

 

চিংড়িতে ভেজাল গেল না!
সুস্বাদু চিংড়ি মাছ খেতে কার না ভালো লাগে। দেশের অনেক মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই থাকে এই চিংড়ি মাছ। দিন দিন চিংড়ি মাছের চাহিদা বাড়ছে। আর মানুষের এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ভেজাল দিয়ে বিক্রি করছে চিংড়ি মাছ। ওজন বাড়াতে চিংড়ি মাছের মাথায় ঢুকানো হচ্ছে ক্ষতিকর সিলিকা জেল। অতিরিক্ত লাভের আশায় ব্যবসায়ীদের এসব অপকৌশলে চিংড়ি মাছ কিনতে আসা ক্রেতারা না বুঝে একদিকে যেমন প্রতারিত হচ্ছে, অন্যদিকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। খাদ্য হিসেবে এই চিংড়ি মাছ ক্রমাগত হয়ে উঠছে এক নতুন মরণফাঁদ। মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এই সিলিকা জেল মানুষের লিভার ও কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা নীরব ঘাতকের ভূমিকা নিয়ে অগণিত মানুষকে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না মাছ ব্যবসায়ীদের ভেজাল সংক্রান্ত এসব অপকৌশল সম্পর্কে। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় এসব ভেজাল বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি।
আরিফুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন