Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলবে’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (বিকেইউ) নেতা রাকেশ টিকাইত গতকাল ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, মোদি সরকারের আনা বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ অক্টোবরের আগে শেষ হবে না, যতক্ষণ না সেগুলো বাতিল করা হবে।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্র সরকারের প্রবর্তিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কয়েক হাজার কৃষক দিল্লির উপকণ্ঠে বিক্ষোভ করছেন। সরকার বলছে যে, নতুন আইন কৃষকদের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করবে এবং কৃষিক্ষেত্রের সংস্কার করবে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা বলছেন যে আইনগুলো বড় কর্পোরেশনকে উপকৃত করবে।
গতকাল বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাতকারে বিকেইউর মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেন, “আমাদের সেøাগান হলো ‘আইন প্রত্যাহার না হলে, বাড়ি ফিরবো না।’ অক্টোবরের আগে এই আন্দোলন শেষ হবে না, এর আগে শেষ হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।”

এই আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন ৪০ টিরও বেশি ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের ঐক্য সংগঠন সংঘবদ্ধ কিষাণ মোর্চা গতকাল বলেছে যে, পুলিশ ও প্রশাসনের ‘হয়রানি’ বন্ধ না হওয়া এবং আটক কৃষকদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত সরকারের সাথে কোনও ‘আনুষ্ঠানিক’ আলোচনা হতে পারে না। সংগঠনটির অভিযোগ, ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ, পথে পেরেক বিছানো, কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা এবং ‘বিজেপি-আরএসএস কর্মীদের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল করা’ এগুলো সবই সরকারের আক্রমণের ‘অংশ’। সরকার, পুলিশ ও প্রশাসন কৃষকদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।

সংঘবদ্ধ কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, সোমবার তাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, পুলিশ ও প্রশাসন কর্তৃক কৃষকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ না করা পর্যন্ত সরকারের সাথে কোনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা হতে পারে না। তারা বলেছে, ‘যদিও সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার কোনও আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসে নি, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যেসব কৃষক অবৈধভাবে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার পরেই আলোচনা হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, কৃষি আইন নিয়ে প্রতিবাদী কৃষক ও সরকারের মধ্যে মোট ১১ দফা আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষটি হয়েছিলো গত ২২ জানুয়ারী। ফার্ম ইউনিয়নগুলো কমপক্ষে দেড় বছরের জন্য এই তিনটি আইন স্থগিত করার বিষয়ে সরকারের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। দশম দফায় আলোচনার মধ্যে সরকার তাদের সর্বাধিক সুদূরপ্রসারী প্রস্তাবে এই আইনগুলো স্থগিত করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে কৃষকরা তাদের কঠোর অবস্থানকে আরও কঠোর করে বলেছেন যে, আইনগুলো সম্পূর্ণরূপে বাতিল না হলে তারা বিক্ষোভ বন্ধ করবে না। সূত্র : দ্য হিন্দুস্থান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ