মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে কৃষক আন্দোলন আরও ব্যাপকতা লাভ করেছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবার সংসদ ভবন পর্যন্ত মিছিল ও ঘেরাও করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলো। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে লক্ষাধিক ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবারের (২৬ জানুয়ারি) ঘটনার পর ২২টি মামলা রুজু হয়েছে কৃষদের বিরুদ্ধে।
অপরদিকে ট্রাক্টর মিছিলের নির্দিষ্ট রুট ভেঙে যারা রাজধানী দিল্লির লালকেল্লায় অভিযান চালিয়েছে, তাদের কার্যকলাপকে সমর্থন করেননি ৪১টি কৃষক ইউনিয়ন নিয়ে তৈরি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। আন্দোলনকারী কৃষকদের শান্ত থাকার আবেদন জানিয়ে গতকালই তারা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবারের ঘটনায় তিনশ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ২২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কিছু কৃষক নেতার নাম আছে।
মঙ্গলবার দিল্লির চারটি সীমানা থেকে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল করার কথা ছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসে এই ট্রাক্টর মিছিল করার জন্য বহু দিন ধরেই আবেদন জানিয়ে রেখেছিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। প্রথমে অনুমতি না পেলেও শেষ মুহূর্তে প্রতিটি সীমানা থেকে নির্দিষ্ট রুট তৈরি করে দেয় পুলিশ। শুধু সেই রুটেই ট্রাক্টর মিছিল করা যাবে বলে জানানো হয়। কিন্তু দুপুরের দিকে সিংঘু সীমানা থেকে আসা কৃষকদের একটি অংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে দিল্লির রিং রোডের দিকে। সেখান থেকে আইটিও হয়ে তারা চলে যায় লালকেল্লা।
অভিযোগ করা হয়, এই কৃষক বাহিনীর সামনে ছিলেন পাঞ্জাবি নেতা দীপ সিধু। লালকেল্লার মাথায় শিখদের ধর্মীয় পতাকাও তিনিই লাগান। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হচ্ছে। তবে সিধু মঙ্গলবার রাতে দাবি করেন, উত্তেজনার বশে তিনি ওই কাজ করেছেন ও জাতীয় পতাকার নিচে শিখদের পতাকা তিনি লাগিয়েছিলেন। ফলে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়নি।
এদিকে আজ বুধবার কৃষক নেতারা ফের আন্দোলনরত কৃষকদের সাথে বৈঠকে বসেছেন। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালানোর পাশাপাশি ১ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট ভবন অভিমুখে পদযাত্রার কথা তারা জানিয়েছেন। ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়। ওই দিন আদৌ কৃষকদের মিছিল করতে দেয়া হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এ বিষয়ে প্রশাসন এখনো কিছু জানায়নি।
কৃষক আন্দোলনে এখন পর্যন্ত বহু কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সারা ভারত কৃষক সংঘ সমিতির যৌথ মঞ্চের কৃষক নেতাদের দাবি, আইন বাতিল না করে তারা বাড়ি ফিরবেন না। আন্দোলন আরও চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।