মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন নিয়ে চলমান কৃষক বিক্ষোভের মধ্যেই এবার মোদি সরকারকে আইনগুলো স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার ৩ কৃষি আইন নিয়ে শুনানি ছিল ভারতের শীর্ষ আদালতে। এতদিন এই আইনগুলো কোনমতেই প্রত্যাহার করা হবে না বলে আসলেও এবার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ৩ কৃষি আইনে আপাতত স্থগিতাদেশ দেয়া। কেন্দ্র যদি তা না করে, তাহলে সেই পদক্ষেপ নেবে আদালতই। আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে, ‘দিনের পর দিন দিল্লির রাজপথে বয়স্ক মানুষেরা বসে আছেন, মহিলারা বসে আছেন, তাহলে কেন সরকার এই পরিস্থিতি দেখেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না?’ সেই সূত্রেই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আগামী দিনে যদি কেন্দ্রীয় সরকার ৩টি আইন প্রয়োগে স্থগিতাদেশ না দেয়, তাহলে আদালতকে এগিয়ে আসতেই হবে। কারণ, প্রত্যেকদিন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, ‘কোনও ভাবে এই আন্দোলনের ফলে পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে না যায়। আমরা কেউ নিজেদের রক্তমাখা হাত দেখতে চাই না। কোনও মৃত্যু বা কোনও ক্ষত দেখতে চাই না আমরা।’ দিল্লির কাছে কৃষকদের বিক্ষোভ যে তীব্র আকার নিয়েছে, তা প্রশমনে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেছে, ‘এটি আপনারাই স্থগিত করবেন, নাকি আমরা করব, এটা বলে দিন। এখানে ইগো কীসের?’
গত দিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছিল, কেন পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হচ্ছে না? সেই সূত্রে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর আলোচনা চলছে। সোমবার সেই আলোচনার প্রসঙ্গ তুলেই শীর্ষ আদালত বলে, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘আমরা আজ পর্যন্ত একাধিক প্রশ্নের সদুত্তর পাইনি। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়েছে। কেন মহিলা, বয়স্করা আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন, সরকার জানে?’ সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, ৩-৪ টি রাজ্যের কৃষকরা প্রতিবাদ করছেন, এখানে বৃহত্তর কৃষক সমাজের অংশগ্রহণ নেই। দক্ষিণ ভারত থেকে কোনও কৃষক এই আন্দোলনে অংশ নেননি।
প্রসঙ্গত, টানা ৮ রাউন্ড বৈঠকের পরেও কৃষকদের সঙ্গে রফা সূত্র বের করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। ৩ কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন কৃষকরা। অন্য দিকে, সরকার এখনও আইন বাতিল করার কথা বলেনি। উল্টো কেন্দ্রের শাসক দল প্রচার চালাচ্ছে, কী ভাবে কৃষি আইনের দৌলতে কৃষকদের উন্নতি সাধিত হবে। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।