পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমার নাম মেঘনা। আমি একটি নদী। ১৫৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ আমার শরীরের প্রস্থ ৩৪শ’ মিটার। প্রকৃতির নিয়মে যুগের পর যুগ ধরে নিরবধি মানুষের জন্য পানি বিলিয়ে চলছি। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু মানুষ শিল্প-বাণিজ্যের নামে আমার বুকে চেপে বসেছে। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রাকৃতির অপরুপ দৃশ্য দেখতে রাজধানী ঢাকা থেকে হাজার হাজর মানুষ সোনারগাঁওয়ে ছুটে যায়। অথচ সেই সোনারগাঁওয়ে আমার শরীরের অংশ জখম করে ঘা বানিয়ে দিয়েছে অসাধু কিছু মানুষ। আমার চলার পথে স্রোতে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকৃতির গতিকে যেন ঠেকিয়ে দিতে চাচ্ছে। নিজের জন্য নয়; আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের জন্য আমার জন্ম। অথচ সেই মানুষের কিছু ব্যক্তি আমার শরীর কেটে-ভরাট করে বিষফোঁড়া বানিয়ে দিয়েছে। বিষাক্ত ফোঁড়ায় (তীরে মাটি ভরাট) যন্ত্রণায় আমি ক্লান্ত। সরকার বছরের পর বছর ধরে আমার চলার পথ মসৃণ করতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করছে। অথচ এক বছরে সফলতা সামান্যই। সবাই বলেন সংবিধান অনুযায়ী সরকারের হাত অনেক লম্বা। কিন্তু নদ-নদীর অবৈধ দখল উদ্ধারে দেখছি ভিন্ন চিত্র। সরকারের চেয়ে অবৈধ দখলদারদের হাত লম্বা?
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার সারাদেশে নদ-নদী দখলমুক্ত করার মহাপরিকল্পনা কার্যকর করছে। চলমান সেই প্রক্রিয়ায় কাগজে-কলমে সারাদেশের ৮ বিভাগের নদ-নদীর অবৈধ দখল সবচেয়ে বেশি উচ্ছেদ হয়েছে রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম উচ্ছেদ হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এখনো দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পাড়েই পড়েছে দখলদারদের হাত। মেঘনা ও শীতলক্ষ্যায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হয়নি।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ার কারণে মেঘনার কান্না আর থামছে না। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে শুরু হলেও নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ও শীতলক্ষ্যায় এমনকি ময়মনসিংহ ও ব্রহ্মপুত্র নদেও উচ্ছেদ শুরু করা যায়নি। ফলে একই অববাহিকাঞ্চলে নদ-নদীর প্রবাহ পুনরুদ্ধারে এবং ভাটিপথে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বন্যার পানি দ্রুততার সঙ্গে নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রত্যাশিত পরিবর্তন হয়নি।
জানতে চাইলে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার ইনকিলাবকে বলেন, করোনাকালে লকডাউনের কারণে পুরোদমে উচ্ছেদ কাজ হয়নি। আবার অনেকক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ বা জেলা প্রশাসনের প্রয়োজনীয় লোকবল সঙ্কট, অর্থ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব আছে। এসব উত্তরণে করণীয় নিয়ে কমিশন চিন্তাভাবনা করছে। তবে একটি প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিতে দেয়া হয়েছে যাতে নদী দখলের চিত্র কমিটির নজরে আসে। নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে কী করা যায়, তা নিয়ে কমিশনের সুপারিশ আছে।
তবে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর সবচেয়ে বড় উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। রাজধানীর চারপাশে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে সরকারদলীয় দু’জন এমপি দখলে থাকা জায়গাও এখানে উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর নদীর সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। তবে তুরাগপাড়ে কিছু জায়গা এখন আবার অবৈধ দখলে চলে গেছে।
মূলত: নদীখেকোদের দখলের কবলে পড়ে মেঘনা নদীর সোনারগাঁওয়ের অংশটি বর্তমানে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। দূর থেকে মেঘনা নদীর দিকে তাকালে চোখে পড়ে নদীর তীরবর্তি বিশাল এলাকাজুড়ে শুধু দখলদারিত্ব ও বিশাল বিশাল স্থাপনা। শুধু নদীর জায়গা নয়, শাখা নদী, খাস সম্পত্তি, প্রভাবশালী নদীখেকোরা মেঘনা নদীটি অবৈধভাবে দখল-দূষণ করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশকে মারাত্মক ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। মেঘনা নদী প্রতিনিয়ত দখল হলে নদী উদ্ধারে তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।
২০২০ সালের ১৯ মে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ব্যাপক ডাক-ঢোল পিটিয়ে ‘মেঘনা নদীর তীরবর্তী ‘দখল’ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। বিগত ১৯ মে থেকে মেঘনা নদী দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু হয় এবং পর্যায়ক্রমে ছয়দিন চলে অভিযান। অভিযান পরিচালনার সময় নদী সবচেয়ে বেশি দখলকারী দেশের প্রভাবশালী কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দখলকৃত মেঘনা নদী, নদীর তীরবর্তী খাস ভূমি, সরকারি খাল এবং ফোরশোর ল্যান্ডভুক্ত ভূমিতে বালু ভরাট করে প্রাচীর দিয়ে দখল করার পরও অভিযান চালায়নি বিআইডব্লিউটিএ। তখন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেন, বিগত ঈদুল ফিতরের পরে পুনরায় অভিযান পরিচালনা হবে এবং উচ্ছেদের আওতায় পড়বে নদী দখলকারী সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
এমনকি তৎকালিন সময়ে নদীতে ভরাটকৃত বালু কয়েক কোটি টাকায় নিলামে বিক্রি করার পর এখনো বালু সরানো হয়নি। উল্টো আরো বালু ফেলে দখল অব্যাহত রাখছে প্রভাবশালী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিগত বছরের শেষের দিকে মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত মদিনা গ্রুপের দখলকৃত নদী অংশ ও সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার হলেও অজ্ঞাত কারণে অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা নদী ও সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করেনি প্রশাসন। জানতে চাইলে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে মদিনা গ্রুপের দখলে থাকা নদীর ও নদীর তীরবর্তি সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করেছি। অন্যন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা নদী ও সরকারি সম্পত্তি ডিসি স্যারের নির্দেশক্রমে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করব।
জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সারা দেশে ৫৭ হাজার ৩৯০ জন অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। গত বছর নদীর জায়গা দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়ে গত বছরের ২৭ আগস্ট সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয় কমিশন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সব জেলায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। এক বছরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে মাত্র ৩৩ শতাংশ। উচ্ছেদ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে অনেক দখলকারী আবারো জমিগুলো পুনরায় দখল করেছেন বলে জানা গেছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদ ইনকিলাবকে বলেছেন, নদী কেউ দখল করতে পারে না। ঠিক মেঘনা নদীর ক্ষেত্রে তাই। তবে আমার জানামতে মেঘনার অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এমপি আসলাম সাহেবের প্রতিষ্ঠানের বিষয় আদালত রায় দিয়েছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, অনেক সরকারি কর্মকর্তা কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর হাতে খেলেন যার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, যে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর জমি পাগলা, কামরাঙ্গীরচর, গাবতলী, ওয়াশপুর, আশুলিয়া, আবদুল্লাহপুর, রূপগঞ্জ, টঙ্গীসহ অনেকগুলো অঞ্চলে পুনরায় দখল করা হয়েছে একই অংশীদারি ও রাজনীতিবিদদের যারা অংশ হিসেবে উচ্ছেদ করেছিলেন। বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদ অভিযান যা জানুয়ারি ২০১৯ এবং মার্চ ২০২০ এর মধ্যে ৭৮ দিন অব্যাহত ছিল। বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮০ একর নদী জমি ৭৯৯৪৭৪ দখলদারকে উচ্ছেদ করে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে বলা হয়েছে, প্রত্যাশিত পর্যায়ে উদ্ধারকাজ হয়নি। নানামুখী চাপে অনেক জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান বেশি দূর এগোয়নি। আবার একই অববাহিকা অঞ্চলের সব নদীতে একসঙ্গে অভিযান না হওয়ায় উচ্ছেদের সুফলও আসেনি। দখলমুক্ত করার পর অনেক জায়গা ইতিমধ্যে আবারও অবৈধ দখলে চলে গেছে। সেখানে অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত দেশের আট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে কম উচ্ছেদ হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। আর সবচেয়ে বেশি ঢাকায়।
তবে পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা বলছেন, নদীর সীমানা চিহ্নিত না করে উচ্ছেদ অভিযান চালালে তা ফলপ্রসূ হয় না। তাই উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগে দরকার উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমানা চিহ্নিত করা। চলতি মাসে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে মোট অবৈধ দখলদারের ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ উচ্ছেদ করা গেছে। সবচেয়ে বেশি অবৈধ উচ্ছেদ হয়েছে ঢাকা বিভাগে। মোট ৮ হাজার ৫১০ অবৈধ দখলদারের মধ্যে ৬ হাজার ৯৩১ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে দখল উচ্ছেদের হার ৮১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সারা দেশে মোট অবৈধ দখলদারের ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ উচ্ছেদ করা গেছে। সবচেয়ে বেশি অবৈধ উচ্ছেদ হওয়া ঢাকা বিভাগে মোট ৮ হাজার ৫১০ অবৈধ দখলদারের মধ্যে ৬ হাজার ৯৩১ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে দখল উচ্ছেদের হার ৮১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। জেলাভিত্তিক হিসাবেও সবচেয়ে বেশি দখলমুক্ত হয়েছে ঢাকা জেলা এবং রাজধানীর চারপাশে। এখানে ৯৫৯ জন অবৈধ দখলদারের ৫ হাজার ৭৯৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সবচেয়ে কম উচ্ছেদ হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। যার বিভিন্ন নদ-নদীতে ১৮ হাজার ৫৩৭ জন দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৩৫১ জনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে উচ্ছেদের হার ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বরিশালে উচ্ছেদ হয়েছে ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৩৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ, রংপুরে ৩৭ দশমিক ০৭ শতাংশ, খুলনায় উচ্ছেদের হার ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং সিলেটে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নদী রক্ষায় উচ্ছেদ ও উদ্ধার, পানি ও পরিবেশদূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হলেও প্রায়োগিক আইনি ক্ষমতা ও প্রয়োজনীয় জনবল, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও পরিবেশ অধিদফতরের ওপরই নির্ভর করতে হয়েছে। কালেক্টর, রাজস্ব কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ বা পাউবো যারা নদীর জমি ব্যক্তি গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানকে লিজ, দখল হস্তান্তর করেছে, তাদের দ্বারা উচ্ছেদ বা উদ্ধারকাজ শুরু করানো গেলেও প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। কমিশনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্তে¡ও অবস্থার প্রত্যাশিত পরিবর্তন বা উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়নি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কোনো কোনো ক্ষেত্রে নানামুখী চাপের মোকাবিলা ও সীমাবদ্ধতার কারণে বেশি দূর এগোতে পারেনি।
নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নদ-নদীর তীর ও প্লাবনভূমিতে অবৈধভাবে নির্মিত সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদের বাস্তবায়ন ও আইন মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএকে বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু অনেক জেলার নদ-নদীর ক্ষেত্রে তা করা সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে শুরু হলেও নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ও শীতলক্ষ্যায় এমনকি ময়মনসিংহ ও জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদেও উচ্ছেদ করা যায়নি।
বাপা সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল দাবি করে বলেছেন, দখলদারদের প্রকৃত সংখ্যা নদী কমিশনের রিপোর্টে উল্লিখিত তুলনায় কমপক্ষে দশগুণ বেশি হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।