মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নতুন প্রজাতির করোনা নিয়ে নাজেহাল ব্রিটেন। দেশ-বিদেশেও স্বল্প মাত্রায় ছড়িয়েছে সংক্রমণ। ভারতে ব্রিটেন ফেরত কয়েকজনের শরীরে মিলেছে নতুন স্ট্রেন। তারই মধ্যে আবার নতুন করে অ্যাভিয়ান আতঙ্কে কাঁপছে ভারতবাসী। বার্ড ফ্লু’র হানায় ইতোমধ্যে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে শ’য়ে শ’য়ে কাক, হাঁস, মুরগি ও পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে। রাজস্থানের মোট ছয় জেলায় অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেই পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে মুরগির মধ্যে বার্ড ফ্লুর কোনও ঘটনা পাওয়া যায়নি। রাজস্থান রাজ্য জুড়ে পাখির মধ্যে হতাহতের সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাড়ছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৩৩টি পাখির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবারই মারা গিয়েছে ৩৭৫টি পাখি। ভারতে বিশেষ করে কেরালা, রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ- এই চার রাজ্যে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে মারাত্মকভাবে। পার্শবর্তী অঞ্চল হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার কারণে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হাঁস-মুরগির প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছিল এবং গতকাল থেকে তা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কৃষি ও পশুপালন বিভাগের প্রধান সচিব নবীন কে চৌধুরীকে একটি আদেশ জারি করে বলেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে বার্ড ফ্লু মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কোনোভাবেই যাতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে তাই জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে পোলট্রির নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কেবল তাই নয়, পোলট্রির গোশত ও অন্যান্য পাখিদেরও আমদানি সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত’। যদিও কর্তৃপক্ষ তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বার্ড ফ্লুর কারণে পাখির মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, রাজৌরী জেলায় বেশ কয়েকটি কাক মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ মৃত্যু বার্ড ফ্লুর সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা তা নির্ধারণের জন্য কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শীতের মরসুমে জম্মু ও কাশ্মীরে দেশ-বিদেশের পরিযায়ী পাখিরা কিছু সময়ের জন্য থাকে। বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি মূলত এ অভিবাসী পাখিদের জন্য দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে। বন্য দফতর অবশ্য জানিয়েছে যে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রায় অর্ধ ডজন পাখির অভয়ারণ্যে তাদের বার্ড ফ্লু হওয়ার কোনও খবর আপাতত পাওয়া যায়নি। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।