মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে হাজার হাজার কৃষকরা যে আন্দোলন করছেন, তার সঙ্গে সরাসরি কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। তবে এই বিক্ষোভের ফলে সরাসরি রাজনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে কংগ্রেসই। দলের ভগ্ন দশায় এই কৃষক বিক্ষোভ যেন পাঞ্জাব-হরিয়ানার মতো রাজ্যে কংগ্রেসকে নতুন করে উৎসাহ জোগাচ্ছে। এবার তাই এই আন্দোলনকে সমর্থন দিতে সরাসরি পথে নামছেন রাহুল গান্ধী। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে প্রায় ২ কোটি সই সংগ্রহ করেছে কংগ্রেস। যা আজ প্রেসিডেন্টের কাছে জমা দেবে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল। এই দলের নেতৃত্বে থাকবেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি।
কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরোধিতা প্রথম করেন রাহুল গান্ধীই। তিনিই পাঞ্জাবে গিয়ে ট্র্যাক্টরে চেপে আন্দোলনের সূচনা করেন। তবে, দিল্লিতে যে কৃষি বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই বিক্ষোভকে স্বতঃপ্রণোদিত বলেই দাবি করেছে কংগ্রেস। কৃষকদের সংঠনগুলিও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের বিক্ষোভে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। তবে, শুরু থেকেই কংগ্রেস যে এই বিক্ষোভকে নৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে, সেকথা কারও অজানা নয়। বিজেপি নেতারা স্পষ্ট দাবি করেছেন, কৃষকদের এই বিক্ষোভের নেপথ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ মদত আছে। এতদিন আইন বাতিলের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুকটাক সরব হচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী নিজেও। এবার তিনি পথে নামার সিদ্ধান্ত নিলেন। ইতিমধ্যেই আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে সই সংগ্রহ অভিযান চালিয়েছে কংগ্রেস। চমকপ্রদভাবে দলের এই ভগ্ন দশাতেও মাত্র কয়েক দিনে প্রায় ২ কোটি সই তারা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে কংগ্রেস নেতাদের দাবি। দলের বর্ষীয়ান সাংসদ কে সুরেশ জানিয়েছেন, “বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব কংগ্রেস সাংসদরা বিজয় চক থেকে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে মিছিল করে যাবেন। এবং প্রেসিডেন্টের কাছে ২ কোটি সই সম্বলিত একটি পুস্তিকা জমা দেয়া হবে।” কংগ্রেস সুত্রের দাবি, রাহুল এই আইন প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোভিন্দকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করতে পারেন।
এদিকে রাহুলের পথে নামার খবর প্রকাশ্যে আসতেই, তাকে কটাক্ষ করেছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র। সাবেক কংগ্রেস সভাপতির উদ্দেশে তার খোঁচা, “রাহুল গান্ধী তো জানেনই না আলু মাটির উপরে ফলে না নিচে।” বিজেপি নেতার দাবি, দিল্লির কৃষক বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে তথাকথিত ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।