মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০০ আসনও পাবে না বলে সোমবারই টুইটে ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর। এ নিয়ে বিজেপির সমালোচনার জবাবে গতকাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভুল প্রমাণিত হলে কাজ ছেড়ে দেবো। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষরা কি রাজনীতি ছাড়বেন যদি আমার কথা মিলে যায়?’
২০০-র বেশি আসন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ জয় করবে বিজেপি। প্রায় নিয়ম করেই হুঙ্কার দিচ্ছেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা। কিন্তু সেই হুঙ্কার আসলে ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। টুইট বার্তায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এমনটাই দাবি করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ বিজয়ের রবকেও কেন্দ্রীয় শাসক দলের সহযোগী একাংশের সংবাদ মাধ্যমের সাজানো গল্প বলে মনে করেন কিশোর। টুইটে তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্রাটেজিস্ট জানিয়েছেন, বাস্তবে বাংলায় ‘ডবল ডিজিট’ পার করা বিজেপির পক্ষে অত্যন্ত কষ্টসাধ্যের বিষয়। এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডলারে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, ‘একাংশের সংবাদ মাধ্যমের রব সত্তে¡ও বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গে ডবল ডিজিট অতিক্রম করতে বিজেপিকে যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে।’ এরপরই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। টুইটে তার হুঙ্কার, ‘দয়া করে এই টুইটটা সংরক্ষণ করে রাখবেন। আমার দাবি নস্যাৎ করে বিজেপি এর চেয়ে ভাল ফল করলে এই কাজ ছেড়ে দেব।’
বঙ্গ জয়ে মরিয়া বিজেপি। প্রতিমাসেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, নাড্ডারা। বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ- বেছে বেছে সুচারু কৌশলে সভা করছেন তারা। ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভার দিয়েছেন শাহ। লোকসভা ধরে ধরে দায়িত্বে রয়েছেন পাঁচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও দুই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এর মধ্যেই আবার বাংলার রাজনীতিতে দল বদলের দামামা শুরু হয়েছে। গত শনিবারই মেদিনীপুরে অমিত শাহের জনসভায় জোড়া-ফুল ছেড়ে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নতুন ইনিংসের শুরুতেই ‘ভাতিজা হঠাও’ এর ডাক দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের মোট ৭ এবং কংগ্রেসের ৩ বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তালিকায় রয়েছেন মমতার দলের এক সাংসদ ও সাবেক সাংসদও।
দলত্যাগীদের অধিকাংশ টিম-পিকের ভূমিকা নিয়ে বিরক্ত। তৃণমূলের নেতৃত্বস্থানীয় বা বিধায়ক-সাংসদদের কেউ প্রকাশ্যে, কেউ আবার আড়ালেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও মানতে পারছেন না শাসক দলের অনেকে। আবার অভিষেকের ঘনিষ্ঠ কিশোর। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যের শাক দলের ‘কঠিন সময়ে’ দাঁড়িয়েও বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলে ভোট কৌশলী। ভোটের আগে যা রাজনৈতিক গুরুত্ববাহী। এ দিকে কিশোরের চ্যালেঞ্জকে কটাক্ষ করেছেন বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলায় বিজেপির সুনামি চলছে। সরকার গঠনের পর দেশ এক নির্বাচনী রণনীতিকারকে হারাতে চলেছে।’ পাল্টা জবাবে প্রশান্ত কিশোর বলেন, আমি অন রেকর্ড বলেছি আমার গণণা যদি ভুল হয় তবে আমি কাজ ছেড়ে দেবো। কিন্তু যারা আমার সমালোচনা করছেন, সেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয় এবং দিলীপ ঘোষরা কি অনরেকর্ড বলতে পারবেন যে আমি ঠিক হলে ওরা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন? সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।