মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিউজিল্যান্ডের পর এবার স্পেনও স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিতে যাচ্ছে। দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষে বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। এবার উচ্চকক্ষ বা সিনেটে তা পাশ হয়ে গেলেই এই বিল আইনে পরিণত হবে। তবে স্পেনে স্বেচ্ছামৃত্যুর বিল পাশ করানো খুব সহজ হয়নি। রোমান ক্যাথোলিকদের দেশে বাধা এসেছে অনেক।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এ দিন দেশের সংসদের নিম্নকক্ষে স্বেচ্ছামৃত্যু সংক্রান্ত বিলের উপর ভোটাভুটি হয়। ১৯৮-১৩৮ ভোটে জয় হয় স্বেচ্ছামৃত্যু বা ইউথেনেশিয়ার। অর্থাৎ, গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগী স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাতে পারবেন। চিকিৎসকেরা সম্মত হলে স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্পেনে ২০১৯ সালে স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, দেশের সিংহভাগ মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে। তবে বিরোধিতাও ছিল। দেশের কনসারভেটিভ পার্টি এবং অতি দক্ষিণপন্থী দল এই বিলের চরম বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, খ্রিস্টান ধর্মের প্রথা অনুযায়ী এমন আইন মেনে নেয়া যায় না। ধর্ম আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না। বামপন্থী এবং মধ্য দক্ষিণপন্থীরা অবশ্য এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, যে ব্যক্তির চিকিৎসা আর সম্ভব নয়, যিনি অসুখে তীব্র কষ্ট পাচ্ছেন, তার স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নেয়ার অধিকার থাকা উচিত।
এখন স্বেচ্ছামৃত্যু স্পেনে দণ্ডনীয় অপরাধ। ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী বছরের শুরুর দিকে উচ্চকক্ষ বা সেনেটেও পাশ হয়ে যাবে আইনটি। এ দিন সংসদে যখন বিলটির উপর ভোট হচ্ছে, তখন কিছু মানুষ সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। খুলির ছবি দেয়া ব্যানার হাতে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, এ ভাবে ধর্মকে অমান্য করে আত্মহত্যাকে বৈধতা দেয়া অনুচিত।
স্বেচ্ছামৃত্যুরআইন অবশ্য যথেষ্ট জটিল। রোগীকে বিভিন্ন পর্যায়ে চারবার স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করতে হবে। প্রথম দুইবার লিখিত আবেদন করতে হবে। এরপর চিকিৎসকরা আবেদনের পর্যালোচনা করবেন। তারপর আরো দুইবার আবেদন জানাতে হবে। আবেদনের যে কোনো পর্বে চিকিৎসকেরা মত বদলাতে পারবেন। শুধু তাই নয়, কোনো চিকিৎসক যদি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না চান, তা হলে তাকে বাধ্য করা যাবে না। ধর্মীয় ভাবাবেগে যাতে কোনোভাবেই আঘাত না লাগে, সে দিকে খেয়াল রাখা হয়েছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি আবেদনকারীকে স্পেনের নাগরিক হতে হবে। অন্য দেশের মানুষ স্পেনে গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাতে পারবেন না। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।