মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় বাম-কংগ্রেসের ইঁদুর দৌড় অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলের ট্রেন্ডে আরো একবার এ দুই শক্তির প্রাধান্য দেখা গেল। আগের তুলনায় আসন সামান্য বাড়লেও নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হল বিজেপি। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নির্বাচনের যা ফলাফল তাতে শাসক এলডিএফ, প্রধান বিরোধী ইউডিএফের থেকে খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। অনেক পিছিয়ে তৃতীয় হচ্ছে বিজেপি।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত কেরালার যে ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্রেন্ড প্রকাশ্যে এসেছে তাতে ৫০১টিতে এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। অনেকটা পিছিয়ে ৩৭৬টি পঞ্চায়েতে এগিয়ে বা জয়ী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। অন্যরা পেয়েছে ২৯টি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র দখলে মাত্র ২৫টি পঞ্চায়েত। একইভাবে ব্লক পঞ্চায়েতে ১৫২টি আসনের মধ্যে শাসক এলডিএফ এগিয়ে ১১০ আসনে। দ্বিতীয় স্থানে ইউডিএফ এগিয়ে ৪১ আসনে। ১টি আসনে এগিয়ে অন্যরা। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এখানে কোনও আসনে এগিয়ে নেই। ১৪টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে বামেরা এগিয়ে ১০টিতে। ইউডিএফ মাত্র ৪টিতে। জেলা পঞ্চায়েতের এ ফলাফল বেশ চিন্তায় রাখবে কংগ্রেসকে।
গ্রামাঞ্চলের থেকে শহরাঞ্চলে অবশ্য লড়াইটা আরেকটু কঠিন। ৮৬টি পুরসভার মধ্যে ৩৯টিতে এ মুহ‚র্তে এগিয়ে বামেরা। কংগ্রেস জোট এগিয়ে ৪১টিতে। অন্যান্যরা ৪টিতে। বিজেপি মাত্র ২টিতে। অন্যদিকে ৬টি পুরনিগমের মধ্যে ৪টিতে এগিয়ে এলডিএফ। ইউডিএফ মাত্র দুটিতে। বিজেপি তথা এনডিএ কোথাও এগিয়ে নেই। তবে শশী থারুরের ঘরের মাঠ তিরুবনন্তপুরমে কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। নির্বাচনে এটাই বিজেপির সবচেয়ে বড় সাফল্য। তবে, সার্বিকভাবে এই ফলাফল হতাশ করবে গেরুয়া শিবিরকে।
আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে বিজেপি প্রায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিতে। কিন্তু শেষমেশ তারা সেহারে সাফল্য পেল না। অন্যদিকে, এই ফলাফল স্বস্তি দেবে বামেদের। বিধানসভার আগে বেশ শক্তিশালী ভিত তৈরি করে ফেলল তারা। স্থানীয় নির্বাচনের এই ফলাফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কংগ্রেস। বিজেপি আসন বাড়াতে না পারলেও কোথাও কোথাও ভোট বাড়িয়েছে। ভাগ বসিয়েছে বাম বিরোধী ভোটে। যার ফলে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিধানসভাতেও এই ট্রেন্ড দেখা দিলে সেটা কংগ্রেসের জন্য আরও আশঙ্কার হয়ে দাঁড়াতে পারে। সূত্র : ভারতীয় মিডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।