Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে দিনে প্রতি ইউনিট পাবে ১শ’ করোনা টিকা

ব্রিটেনে সেলফ-আইসোলেশন ১৪ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

ব্রিটেন জুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সেলফ-আইসোলেশন বা স্ব-বিচ্ছিন্নতা ১৪ দিনের স্থলে ১০ দিনে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে ফেরার পর সেলফ-আইসোলেশন নির্দেশিত লোকদের ক্ষেত্রেও এই পরিবর্তনটি প্রযোজ্য হবে। যে সমস্ত দেশ ভ্রমণ করিডরের তালিকায় নেই, তাদেরও জন্যও আইসোলেশনের সময়কালের পরিমাণ একইভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই পরিবর্তনটি ব্রিটেনের প্রধান মেডিকেল অফিসারদের সম্মতিক্রমে ঘোষণা করা হয় এবং ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে কার্যকর হবে। এটি ইতিমধ্যে ওয়েলসে কার্যকর হয়েছে।

সেলফ-আইসোলেশন বিধির পরিবর্তনকালে ব্রিটেনের চার প্রধান মেডিকেল অফিসার (সিএমও) ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি, স্কটল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার ড. গ্রেগর স্মিথ, উত্তর আয়ারল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার ড. মাইকেল ম্যাকব্রাইড এবং ওয়েলসের চিফ মেডিকেল অফিসার ড. ফ্র্যাঙ্ক অ্যাথার্টন এক সমম্মিলিত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রমাণ পর্যালোচনা করার পর আমরা এখন নিশ্চিত যে, সেলফ-আইসোলেশন ১৪ দিন থেকে ১০ দিনে কমিয়ে আনতে পারব।’ তারা বলেন, ‘সেলফ-আইসোলেশন কোভিডের বিস্তার হ্রাস করার জন্য প্রয়োজনীয়। কারণ এটি সংক্রমণের সুযোগ রোধ করে থাকে।’ সূত্র : স্কাই নিউজ।

ভারতে দিনে প্রতি ইউনিট পাবে ১শ’ করোনা টিকা : এদিকে একদিনে শত শত লোককে টিকা দেয়া হচ্ছে এমন নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচীর বিপরীতে ভারতে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনাগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে, প্রতিটি টিকাদান ইউনিট প্রতিদিন মাত্র ১ শ’টি অ্যান্টি-করোনার শট দিতে সক্ষম হবে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুই দিনের কর্মশালায় অংশ নেয়া অন্যতম টিকাদান কর্মকর্তা ড. রজনী এন বলেছেন, ‘সামাজিক দূরত্বের কারণে সৃষ্ট সীমাবদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, প্রতি ঘন্টায় মাত্র ১৩ থেকে ১৪ জনকে এই টিকা দেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আপাতত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে লজিস্টিক্যাল সীমাবদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিদিন প্রতি সাইটে ১শ’র বেশি টিকা দেওয়া হবে না।’

দেশটির রাজ্যগুলি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের জারি করা এসওপির ভিত্তিতে এডভার্স ইফেক্ট ফলোয়িং ইমুনাইজেশন (এএফআই)-এর জন্য নিয়োজিত হাসপাতালগুলির অবকাঠামো উন্নয়ন শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলিতে পাঠানো খসড়া এসওপি অনুসারে, প্রতিটি টিকাদান স্থলে একজন প্রহরীসহ ৫ জন টিকা কর্মকর্তা এবং অপেক্ষার জন্য, টিকা দেওয়ার ও পর্যবেক্ষণের জন্য ৩ টি কক্ষ থাকবে। ভ্যাকসিন দেয়া ব্যক্তিদের এএফআইয়ের জন্য বাধ্যতাম‚লকভাবে ৩০ মিনিটের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং আশঙ্কাজনকদের রাষ্ট্র দ্বারা চিহ্নিত হাসপাতালগুলিতে স্থানান্তর করা হবে।

প্রতিটি সাইটে পাঁচ জন ভ্যাকসিন কর্মকর্তার মধ্যে, একজন তালিকায় থাকা ভ্যাকসিন সুবিধাভোগীদের নাম ক্রস-চেক করার দায়িত্বে থাকবেন এবং কোভিড-উপযুক্ত আচরণ নিশ্চিত করবেন। অন্যান্য কর্মকর্তারা সরকারী কো-উইন অ্যাপের সাহায্যে আইডি, ক্রস রেফারেন্স যাচাই করবেন, সুবিধাভোগীর গোপনীয়তা নিশ্চিত করবেন। পাশাপাশি, তারা কোনও পুরুষ ভ্যাকসিনেটর ডিউটিতে থাকলে মহিলা পরিচারক নিশ্চিত করবেন, নিরাপদ ইনজেকশন অনুশীলন নিশ্চিত করবেন এবং বর্জ্য ব্যবস্থায় সহায়তা করবেন। সূত্র: টাইম্স অফ ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ