পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে পুরো দেশ যখন ক্ষুব্ধ তখনও অতীতের মত বিএনপি নীরবতা পালন করে কার্যত ভাস্কর্য ভাঙার পক্ষেই অবস্থান নিয়ে উস্কানি দিচ্ছে।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাসদ। আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
এরপর ৫ রাস্তার মোড়ে ভাংচুরকৃত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যস্থলে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্যে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দাতারা চিহ্নিত রাজনৈতিক মোল্লা। সবসময় তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভূমিকা রেখেছে। গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি জামায়াত জঙ্গি-রাজাকারের ভাড়াটে হিসেবে এখন তারা ভাস্কর্যের বিপক্ষে হুংকার ছেড়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মধ্যদিয়ে এই রাজনৈতিক মোল্লারা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, সংবিধান ও দেশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই অবস্থান নিয়েছে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার করে প্রত্যেককে সাজা দেয়া বাঞ্ছনীয়। এদের কোনও রকম ছাড় দেয়ার জায়গা নেই।
পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত ও স্থানীয় জাসদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হাসানুল হক ইনু ভাংচুরকৃত ভাস্কর্য পরিদর্শন করেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের চার আসামির পুলিশ রিমান্ড শুরু হয়েছে আজ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর গেল শুক্রবার রাত ২টা ১৬ মিনিটে অভিযুক্ত আসামি মাদরাসা ছাত্র সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ ও আবু বক্কর ওরফে মিঠুন হাতুড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ভাংচুর করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।