বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহআলম বলেছেন, রাশেদ খান মেনন এখন কোথায়? মেনন এখন কার খালু? হাসানুল হক ইনু কোথায়, ইনু কার খালু? দুই দশক আগে ১১ দলের জোট ভেঙে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভিড়ে কার খালু হয়েছেন? গত শুক্রবার (২০ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শাহআলম এসব কথা বলেন। সিপিবি, চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে প্রবীণ কমিউনিস্টদের সম্মাননা জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি জাতীয় সরকারের নামে ছোট দলগুলোকে টোপ দিচ্ছে মন্তব্য করে শাহআলম বলেন, বিএনপি এখন জাতীয় সরকারের কথা বলছে। এই জাতীয় সরকার কার জন্য, কীসের জন্য, কোন শ্রেণির জন্য? বিএনপি বলছে যত ছোট দলই হোক, নির্বাচনে ভোট কম পাক, সংসদে আসন না থাকুক, জাতীয় সরকারে গেলে মন্ত্রীত্ব দেব। আমরা বলছি, আওয়ামী লীগ-বিএনপির গুঁতাগুঁতি সামলানোর জাতীয় সরকার আমরা চাই না। আমরা কোনো জাতীয় সরকার, উপজাতীয় সরকারের ফাঁদে পা দেব না।
আওয়ামী লীগও একই টোপ দিয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, যখন ১৪ দল গঠন করা হচ্ছিল, তখন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসে বলেছিল, আসেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, রাজপথে একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করি, একসঙ্গে নির্বাচন করি, একসঙ্গে সরকার গঠন করি। আমরা আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দিইনি। তখন ১১ দল ছিল। সেই জোট থেকে বেরিয়ে কেউ কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভিড়ে গেল, ১৪ দল করল। পরে সেই ১৪ দল আর ১৪ দল থাকল না, ঢুকে গেল স্বৈরাচার এরশাদের দল জাতীয় পার্টি।
১১ দল থেকে বেরিয়ে কেউ কেউ এমপি হলো। দিলীপ বড়ুয়া মন্ত্রী হলেন। ১৪ দল এখন কোথায়? মেনন এখন কোথায়? মেনন এখন কার খালু? ইনু এখন কার খালু? দিলীপ বড়ুয়া এখন কার খালু? অথচ আমরা (সিপিবি) আমাদের অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি। মন্ত্রীত্বের টোপ দিচ্ছে বিএনপি। সেই ফাঁদে আমরা পা দেব না। আমরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার রাজনীতিতে নেই, আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার রাজনীতিতেও নেই। আমরা নিজেরাই এবার রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চাই।
একই অনুষ্ঠানে সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে নাকি সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর চেষ্টা চলছে। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সিপিবির নামটিও তিনি উচ্চারণ করেছেন। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, সিপিবি ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। সিপিবি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া দল। সিপিবি সবসময় মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়িয়েছে। সিপিবি লুটেরাদের পাহারাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করছে। তবে এক লুটেরাদের পাহারাদারকে হটিয়ে আরেক লুটেরাদের পাহারাদারকে ক্ষমতায় আনার লড়াইয়ে সিপিবি নেই। আমরা বামশক্তিকে ক্ষমতায় নিতে চাই।
চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য মৃণাল চৌধুরী এবং দক্ষিণ জেলার সভাপতি কানাইলাল দাশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।