মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মোদি সরকারের উপরে ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছে। দিল্লিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এবার নতুন তিন আইন প্রত্যাহার ও কৃষকদের জন্য সুবিচারের দাবিতে উত্তাল হয়েছে ব্রিটেনের রাজপথ। পাশাপাশি, কৃষকদের এই আন্দোলনের প্রতি বিশ্বজুড়ে প্রবাসী শিখ সম্প্রদায় সমর্থন জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন, টরন্টো থেকে সানফ্রান্সিসকো, অকল্যান্ড থেকে বার্লিন - এই সপ্তাহান্তে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে গাড়ির মিছিল পর্যন্ত বের করছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতিমধ্যেই এই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে একাধিক বিবৃতি দিয়েছেন, ব্রিটেন-জার্মানি বা যুক্তরাষ্ট্রের শিখ রাজনীতিবিদরাও প্রকাশ্যেই তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন মহল থেকে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা এসেছে। কিন্তু সরকার এখনও তাদের দাবি মানেনি। বরং চলছে দর কষাকষি। ৯ তারিখ ফের বৈঠকের টেবিলে বসছে দু’পক্ষ। তার আগে আগামীকাল ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। সমর্থন এসেছে বিরোধী দলগুলি থেকেও। এমন আবহে কানাডা, ব্রিটেনের তরফ থেকেও কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা এসেছে। আর এই বিষয়টা মোদি সরকারের উপর যে চাপ বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য। স্থানীয় সময় রোববার সকাল থেকে মধ্য লন্ডন ছিল উত্তপ্ত। করোনাবিধির তোয়াক্কা না করেই ভারতীয় দূতাবাস, ট্রাফাগেল স্কোয়ার-সহ একাধিক এলাকায় জমায়েত করেন প্রতিবাদীরা। তাদের হাতে ছিল কৃষকদের সমর্থন পোস্টার। কারোর কারোর মাস্কে লেখা ছিল, ‘কৃষকদের জন্য সুবিচার চাই।’ ভারতীয় দূতাবাসের সামনে ওঠে স্লোগানও। এই বিক্ষোভের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩০ জনকে আটক ও মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। অভিযোগ, করোনাবিধি ভেঙেছেন বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, লন্ডনে করোনা সংক্রমণ আটকাতে ৩০ জনের বেশি লোকের জমায়েতের অনুমতি নেই। তারপরেও কীভাবে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অনুমতি ছাড়া কীভাবে এতজন জমায়েত করলেন, তা খতিয়ে দেখতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মূলত ভারত-বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসীরা এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে। তারাই দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কানাডাতেও কৃষকদের সমর্থনে একাধিক র্যালি বেরিয়েছিল। এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গতকাল বিক্ষোভস্থলে যেয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন। আম আদমী পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির সীমানায় কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা খতিয়ে দেখতেই যাচ্ছেন কেজরিওয়াল। বিরোধী দল কংগ্রেস ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় কৃষকদের দাবী পূরণ করা না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে, কৃষক আন্দোলনে পাশে দাঁড়াতে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ‘কিসান যাত্রা’-র ডাক দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। কিন্তু কনৌজে ঘোষিত অনুষ্ঠানে যেতেই পারলেন না তিনি। বদলে বাড়ির সামনে তাকে আটকে দিল পুলিশ। শেষে নাছোড়বান্দা অখিলেশ বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসলেন। তবে তাতেও সমাধান হল না। শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করে এলাকা খালি করল যোগী রাজ্যের পুলিশ। সূত্র : টিওআই, এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।