বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ১২নং রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউপি’র উপ-নির্বাচনে প্রচারণার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু বকর ও তার লোকজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর লোকজন ওই হামলা করেন। হামলায় ৭টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও ৯জন আহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
হামলার শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু বকর বলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মন চাপিতলা গ্রামে। তাই এ ইউনিয়নে গত ২০ বছর ধরে প্রতিদ্বন্দিতা বিহীন চেয়ারম্যান এবং সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। তিনি প্রভাব খাটিয়ে আপন বড় ভাই সফু মিয়া সরকারকে চেয়ারম্যান এবং মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় ১২টি সদস্য বানাতেন। বিগত দিনে অন্য কোন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা দিতে দিতেন না। এবার তার ভাই মারা যাওয়ায় আগামী ১০ ডিসেম্বর উপ-নির্বাচনে এ ইউনিয়নের ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তুু এবারো জাহাঙ্গীর আলম সরকার তার ভাতিজা ইকবাল সরকারকে চেয়ারম্যান বানাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। যার ফলে গত বুধবার রাতে ইউনিয়নের সাহেবনগর এলাকায় গণসংযোগ শেষে রামচন্দ্রপুর বাজারে ফেরার পথে জায়েদ আলী মার্কেটে আমি ও আমার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৭টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও ৯ জনকে পিটিয়ে আহত করে নৌকা সমর্থিত জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও তাঁর লোকজনেরা। যাতে নির্বাচন ফেলে দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালাই।
তবে তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও তার ভাতিজা নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন সরকার বলেন, ‘তাদের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার হামলা করা হয়নি। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবু বকর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ নাটক সাজিয়েছে।’
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বকরের গণসংযোগে হামলা করা হয়েছে বলে শুনেছি। বেশ কয়েকজন আহত ও কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ আহাম্মদ শিকদার বলেন, ‘উপ-নির্বাচনে ওঠান বৈঠক ছাড়া অন্য কোন পন্থায় প্রচার-প্রচারণা চালানো আচরণ বিধি লঙ্গন।’
উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, ‘রামচন্দ্রপুর উপ-নির্বাচনে ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। ঘটনার শিকার যারা হয়েছেন তারা মামলা করলে আইনের মধ্য থেকে তাদের সেবা নিশ্চিত করা হবে।’
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান সফু মিয়া সরকার সম্প্রতি মারা যাওয়ায় ওই ইউনিয়নে আগামী ১০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইকবাল সরকার (নৌকা), ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল হক (হাত পাখা), আবুবকর (ঘোড়া), উজ্জল আহম্মেদ (রজনী গন্ধা), মোমেন মিয়া (আনারস) ও জাহাঙ্গীর আলম (চশমা) প্রতিক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। # #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।