নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্ব রেকর্ড গড়ে খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ানোর ব্যাপারটা ইতালিয়ান সিরি ‘আ’র কাছে নতুন কিছু না। জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, এসি মিলানের মতো লিগের বড় ক্লাবগুলো ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে। ইন্টারের কথাই দেখুন, শুধু নব্বইয়ের দশকেই দু-দুবার সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে খেলোয়াড় কেনার রেকর্ডটা ভেঙেছিল তারা। প্রথমে ব্রাজিলের তারকা স্ট্রাইকার রোনালদোকে বার্সেলোনা থেকে নিয়ে এসেছে। দ্বিতীয়বার এনেছে ইতালিয়ান স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ান ভিয়েরিকে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে । এরপর ইন্টার দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে আর কাউকে আনেনি। তাই বলে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে যে কাউকে আনার চেষ্টা করেনি, তা কিন্তু নয়।
রোনালদো, ভিয়েরি, জানেত্তি, ব্যাজ্জিও, স্নাইডার, ভেরন, লুসিও কিংবা আদ্রিয়ানোর মতো তারকাদের দলে আনা ইন্টার দলে আনতে চেয়েছিল লিওনেল মেসিকেও। শুধু তা-ই নয়, ১৯ বছর বয়সী মেসিকে দলে আনার জন্য সেই ২০০৬ সালে আকাশছোঁয়া ম‚ল্য দিতেও পিছপা হয়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় তখন ছিলেন জিনেদিন জিদান। জুভেন্টাসের এই মিডফিল্ডারকে দলে নেওয়ার জন্য ২০০১ সালে পৌনে আট কোটি ইউরো (৭৭.৫ মিলিয়ন ইউরো) বা প্রায় ৭৯০ কোটি টাকা খরচ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মেসির জন্য ইন্টারের প্রস্তাব ছিল এর প্রায় চারগুণ। ১৯ বছর বয়সী মেসির প্রতিভা দেখে ইন্টারের তৎকালীন সভাপতি মাসিমো মোরাত্তি ২৫ কোটি ইউরো (২৫০ মিলিয়ন ইউরো) বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি দিতে চেয়েছিলেন। এমনকি ২০১৭ সালে নেইমারকে কিনতেও এত অর্থ খরচ হয়নি পিএসজির। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ারডকে পেতে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো খরচ করেছে দলটি।
ইন্টারের প্রস্তাবটায় রাজি হলে হয়তো বার্সেলোনা রাতারাতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্লাব তো হতোই, ক্লাবের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমস্যাও মিটত। কিন্তু টাকার লোভে পড়ে ক্লাবের সবচেয়ে দামি রতœকে বিক্রি করেননি তৎকালীন সভাপতি ও আগামী ২৪ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হোয়ান লাপোর্তা। এমন কথা লাপোর্তা নিজেই জানিয়েছেন, ‘মেসির জন্য আমি সব সময় বিভিন্ন ক্লাবের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। ২০০৬ সালে মোরাত্তি আমাকে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো দিতে চেয়েছিল মেসির জন্য। আমি সরাসরি মানা করে দিয়েছিলাম।’
ইন্টারের প্রস্তাব পেয়ে মেসির পরিবারও সংশয়ে পড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন লাপোর্তা। কিন্তু শেষমেশ ক্লাবের স্বার্থে লাপোর্তাই তাঁদের রাজি করেন বার্সায় থেকে যাওয়ার জন্য, ‘ওর বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ওরা কী করবে। আমি তখন বললাম, সবচেয়ে ভালো হবে যদি তোমরা থেকে যাও এখানে। কারণ আমরা এমন একটা দল বানাচ্ছি, যা মেসিকে সবকিছু জেতাতে সাহায্য করবে। আমি মেসির চোখে এই ক্লাব, শহর আর দেশটার প্রতি ভালোবাসা দেখেছিলাম।’
কিছুদিন আগে মেসিকে পেতে চাওয়ার ব্যাপারটা স্বীকার করেছিলেন মাসিমো মোরাত্তিও। লাপোর্তার কথা তারই সত্যতা প্রমাণ করল যেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।