নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নাভিন-উল-হকের জন্ম ১৯৯৯ সালে। আফগান পেসারের জন্মের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব ঘটে গেছে শহীদ আফ্রিদির। শুধু আন্তর্জাতিক অভিষেকই নয়, ওয়ানডের দ্রæততম সেঞ্চুরিও তত দিনে হয়ে গেছে আফ্রিদির। একটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও তত দিনে হয়ে গেছে। দুজনের মধ্যে তাই তুলনা চলে না কোনোভাবেই। তবে নিজের এত অর্জনের কথা কাল আফ্রিদি নাভিনকে মনে করিয়ে দিলেন আরেকবার।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে পরশু মুখোমুখি হয়েছিল ক্যান্ডি টাস্কারস ও গল গø্যাডিয়েটরস। প্রথমে বেশ টান টান উত্তেজনার হবে বলেই মনে হচ্ছিল ম্যাচটা। কিন্তু শেষ দিকে প্রতিদ্ব›িদ্বতার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। ম্যাচ শেষেই বরং বারুদে লড়াইয়ের আভাস মিলল। প্রতিবেশী দেশের এক তরুণের আস্ফালন দেখে দম্ভ করে আফ্রিদি বলেছেন, তার জন্মের আগ থেকেই তারকা তিনি।
এদিন ক্যান্ডির কাছে ২৫ রানে হেরেছে আফ্রিদির গল। ম্যাচ শেষে দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে ঘটা এ ঘটনা জানা গেছে সাজ সাদিকের সুবাদে। পাকিস্তান ক্রিকেটের ব্যাপারে অন্যতম বিশ্বস্ত এই সাংবাদিক টুইটে লিখেছেন, ক্যান্ডি টাস্কারস ও গল গø্যাডিয়েটরসের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শেষে শহীদ আফ্রিদি ও আফগানিস্তানের ২১ বছর বয়সী নাভিন-উল-হকের মধ্যে পরিস্থিতি গরম হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি কিছু মিডিয়া দাবি করেছে, আফ্রিদি বলেছেন, ‘ছেলে, তোমার জন্মের আগ থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করছি।’
ঘটনার স‚ত্রপাত অবশ্য নাভিন ও মোহাম্মদ আমিরের মধ্য দিয়ে। শেষ ওভারে ৩৫ রান দরকার ছিল গলের। নাভিনের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন আমির। দুজনের মধ্যে একচোট তখনই হয়ে যায়। এর পর টানা দুটি ডট বল দিয়েছেন নাভিন। সে সঙ্গে দুকথা শুনিয়েও দিয়েছেন আমিরকে। দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলেছে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও। এমন তর্কাতর্কির মধ্যে অন্যরা এসে নাভিনকে থামানোর চেষ্টা করলেও থামেননি আফগান পেসার।
দুই দল যখন ম্যাচ শেষে লাইনে দাঁড়িয়ে হাত মেলাচ্ছিলেন (বর্তমানের কনুই ঠোকাঠুকি), তখনই আফ্রিদি সতীর্থের সাহায্যে এগিয়ে আসেন।ক্ষুব্ধ আফ্রিদি নাভিনকে জিজ্ঞেস করেন, কী হয়েছে? নাকমুখ কুচকে আফ্রিদির এমন রাগ প্রকাশ ভালো লাগেনি নাভিনের। তাই নাভিনও কিছু একটা বলে বসেন তাঁকে। এর জবাবটাও আফ্রিদি দিয়েছেন সেভাবে। গতকাল ১৯৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেছিল গল। দানুশকা গুনাতিনলকা দারুণ খেললেও অন্য প্রান্তে উইকেট পড়ছিল। এমন পরিস্থিতিতে অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির দিকেই চেয়েছিল দল। কিন্তু ছয়ে নামা আফ্রিদি প্রথম বলেই ফিরেছেন।
নিজে ব্যর্থ হয়েছেন, দলও টানা তিন ম্যাচ হেরেছে, এরপর আবার স্বদেশি একজনকে আফগানিস্তানের এক তরুণের কাছে অপদস্থ হতে দেখছেন। তাই রাগ হতেই পারে আফ্রিদির। নাভিনের এভাবে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার খেপিয়ে তুলেছে প্রায় সবাইকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।