মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সঙ্ঘাত আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ বিদ্রোহী কৃষকদের মন ভেজাতে পারেনি। বরং আন্দোলনের ঝাঁঝ আরো বাড়িয়ে লক্ষাধিক কৃষক দিল্লি প্রবেশের ৫টি পথকে অবরুদ্ধ করতে চলেছেন। সারা ভারত কৃষক সভা (এআইকেএস)সহ আরও কয়েকটি কৃষক সংগঠন এ বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছে।
মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন কৃষি আইনে ভারতীয় কৃষকদের জন্য একটি সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে’। মোদি জানান, কয়েক বছর ধরে কৃষকরা যেসব দাবি করে আসছিল, তা শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে। এ আইন কৃষকদের ভালোর জন্য।
আর বিক্ষোভরত লক্ষাধিক কৃষকের দাবি, সরকার নতুন কৃষিনীতি বাতিল করুক ও এমএসপি চালু করুক। তারা আরো জানিয়েছেন, কোনো অবস্থায় ঘেরাও আন্দোলন বন্ধ করা হবে না।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা হবে ৩ ডিসেম্বর। সরকার যে জায়গা বরাদ্দ করছে সেখানে হোক অবস্থান বিক্ষোভ। গতকাল রোববার অমিত শাহের আবেদন প্রত্যাখান করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তারা জানিয়েছেন, সরকার যদি যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি না দেয় তাহলে দিল্লি সীমান্তেই বিক্ষোভ চলবে।
কৃষিনীতি বাতিল করতেই হবে। এ নীতি কর্পোরেট ব্যবসার সুফল দেবে। কৃষকদের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। মূলত এ দাবিতেই সারা ভারত কৃষক সভার (এআইকেএস) নেতৃত্বে আরও কিছু কৃষক সংগঠনের যে বিক্ষোভ মিছিল চলছে তা দৈর্ঘ্যপ্রস্থে এখন জনসমুদ্র।
একের পর এক রাজ্য থেকে রাজধানীর দিকে হাজার হাজার কৃষকের যাত্রা অব্যাহত আছে। উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার সীমানা পার করে দিল্লি ঘেরাও করতে মরিয়া কৃষকরা। মোদি সরকারকে টানা অবরোধে বেঁধে রাখতে অন্তত ছয় মাসের খাবার নিয়ে এসেছেন বলেই জানিয়েছেন বিদ্রোহী কৃষকরা।
দিল্লির দিকে ইতিমধ্যে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশ। এর ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরতর। কোনো রাজ্যের সীমানায় তাঁদের আটকে রাখা সম্ভব নয়। যদিও হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সরকার প্রাথমিকভাবে বিরাট পুলিশি ব্যারিকেড তৈরি করেছিল। সে বাধা উড়িয়েই বিরাট কৃষক বিক্ষোভ যাত্রা চলেছে। এর পরেই বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য সরকার হাল ছেড়ে দেয়। তবে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার জানিয়েছেন, এ কৃষক বিক্ষোভ সম্প‚র্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চলছে।
বিরোধী কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআইসহ বিভিন্ন বাম দল ও একাধিক বিরোধী দল কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। এ আন্দোলনে সামিল এনডিএ জোট ত্যাগ করা শিরোমনি আকালি দল। তারাও সরকারের কৃষি নীতির প্রবল বিরোধিতা করে জোট ছাড়ে।
কেন্দ্রের নতুন কৃষিনীতি প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিলের সমর্থনে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও চলছে কৃষক বিক্ষোভ। বাম কৃষক সংগঠনের পাশাপাশি এতে সামিলার এআইকেএসসিসি, আরকেএমএস, বিকেইউ (রাজেওয়াল), বিকেইউ (চাদুনি)সহ অন্যান্য কৃষক সংগঠন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি, কোলকাতা২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।