মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে তুলকালাম চলছে। কৃষক বিক্ষোভে রীতিমত অস্বস্তিতে মোদি সরকার। আর এই সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় বিরোধী দল কংগ্রেস। গত শুক্রবার মোদি সরকারকে এক হাত নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এই ধরণের বিক্ষোভ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সবে শুরু হল। এরকম আরো দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে গোটা ভারত।
তিনি বলেন, কৃষকদের বাস্তব পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কৃষকরা সত্যের জন্য লড়ছেন। তাদের কেউ দমাতে পারবে না। এই বিশ্বের কোনো শক্তির সামনেই মাথা নোয়াবেন না তারা। যতক্ষণ না কৃষক স্বার্থবিরোধী এই বিল প্রত্যাহার করে না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন বিক্ষোভ চলবেই।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি নীতির প্রতিবাদে বিরাট কৃষক বিক্ষোভ রাজধানী নয়াদিল্লি পৌঁছবেই। এমনই অনড় মনোভাব। সারা ভারত কৃষক সভা ও বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের আহ্বানে চলা এই বিদ্রোহী কৃষক মিছিলের চাপে হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও দিল্লি সরকার চরম উৎকণ্ঠায়। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ কথা মাথায় রেখে বিক্ষোভ বাতিল করুক কৃষকরা। সরকার আগামী ৩ ডিসেম্বর বৈঠকে বসছে।
প্রবল বিক্ষোভ ও উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তর প্রদেশ সরকারও চাপে পড়ে পিছু হটেছে। গত শুক্রবার রাতে মিরাঠে থাকছেন বিক্ষোভকারীরা। সেখান থেকেই তাদের হুমকি, সরকার নতুন কৃষি নীতি বাতিল না করা পর্যন্ত ঘেরাও করা হবে রাজধানী। এক মাসের খাবার নিয়ে এসেছি আমরা। সরকার সমঝে চলুক।
বিক্ষোভের নেতৃত্বে বামপন্থী কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষকসভা (এআইকেএস) ও অন্যান্য সংগঠন। বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অন্যান্যরা সরকারের সমালোচনায় সরব। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, মিরাঠ থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য তৈরি হাজার হাজার কৃষকের ক্ষোভ দ্রুত উত্তর প্রদেশের অন্যত্র ছড়াচ্ছে।
এই ইস্যুতে মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে যুব কংগ্রেসও। তাদের দাবি চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বহিরাগত আক্রমণ ঠেকাতে পারে না কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু কৃষকদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চলছে। গত শুক্রবার ট্যুইট করে এই বার্তা দেয় যুব কংগ্রেস। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।