মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ইংরেজি ভাষার সাপ্তাহিক মুখপত্র দ্য অর্গানাইজার-এর সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ভাল হিন্দু মেয়েদের প্রলোভিত করে বিবাহ ও ধর্মান্তরিত করা একটি বিস্তীর্ণ মুসলিম ষড়যন্ত্রের প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় পর্যায়টি হ’ল ধর্ষণ জিহাদ, আরো অব্যর্থ পরিকল্পনা, যাতে অমুসলিম কিশোরী বা মহিলাদের ধর্ষণ করা হয় এবং পরবর্তীতে অনেক ক্ষেত্রে হত্যা করা হয় এবং তৃতীয় এবং শেষ পর্যায়ে হ’ল গণধর্ষণ এবং জাতিগতভাবে নির্মূল করা।
এ জাতীয় চিন্তা-ভাবনা শুধু রাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ নেই। ভারতের সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং হিন্দু পুরোহিত যোগী আদিত্যনাথ অক্টোবরে ঘোষণা করেন যে, যারা ‘লাভ জিহাদ’ বা প্রেমের জিহাদ করেন, তাদের উচিত বিরত হওয়া বা তাদের জানাজার পরিকল্পনা করা। ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি শাসিত ৫টি রাজ্য এখনও পর্যন্ত লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন কার্যকর করেছে বা বিবেচনা করছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ সরকার একটি ‘স্বাধীনতার ধর্ম’ বিল ঘোষণা করে। এ আইন ইসলাম গ্রহণের উদ্দেশ্যে যে কোনো ধরনের বৈবাহিক অপকৌশলের ক্ষেত্রে ৫ বছরের কারাদন্ডসহ শাস্তি প্রদান করবে।
হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা মুসলিম শাসনের দীর্ঘকালকে ‘মাদার ইন্ডিয়া’র দীর্ঘায়িত লঙ্ঘন হিসাবে উপস্থাপন করে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় উত্তর প্রদেশের বিজেপির প্রধান বারবার রাজ্যটির ৯৯ শতাংশ ধর্ষণের জন্য এ রাজ্যের মুসলমান, যারা ভারতের সাড়ে ২২ কোটি মুসলিমের ১৯ শতাংশ, তাদের সবাইকে দৃঢ়ভাবে দায়ী করের্ছিলেন। ভারতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন আধুনিক গহনার ব্র্যান্ড তানিশ্ক স¤প্রতি একটি সুখী আন্তঃগোত্রীয় বিয়ের বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
হিন্দুদের তাদের মহিলাদের নির্যাতনের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ হিসাবে বিজেপিকে ভোট দিতে বলায় নির্বাচন কমিশন বিজেপি নেতা অমিত শাহকে শাস্তি দিয়েছিল। তিনি এখন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গেল ফেব্রুয়ারিতে সংসদীয় প্রশ্নের জবাবে শাহের একজন প্রতিনিধি স্বীকার করেছেন যে, অস্তত কেরালা রাজ্যে লাভ জিহাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। এনডিটিভির সাংবাদিকরা প্রমাণ পেয়েছেন যে, এমনকি উত্তর প্রদেশেও প্রেমের জিহাদ রোধ করতে আগস্টে গঠন করা একটি পুলিশ দল ইতোমধ্যে প্রমাণের অভাবে ১৪টি দায়েরকৃত মামলার মধ্যে ৭টি ড্রপ করে দিয়েছে।
ভারতীয়রা ধর্মের বাইরে তো দূর, খুব কমই তাদের গোত্রের বাইরে বিয়ে করে। ভারতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বিয়ের আইনে পিতা-মাতা, আমলা এবং অন্যান্য বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের অনুমতি দেয়া রয়েছে। দেশটির আদালতকে প্রায়শই ধর্মনিরপেক্ষ আইন প্রয়োগ বা মহিলাদের পছন্দ করার স্বাধীনতা দেয়ার চেয়ে কট্টরপন্থী ধারাগুলো ধরে রাখতে আগ্রহী বলে মনে হয়। ভারতের ২০ কোটি মুসলমানদের জন্য এটি অন্যরকম সমস্যা। এ নিয়ে একজন টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন, ‘আপনি সমালোচনা করতে পারবেন না, আপনি দেশবিরোধী, আপনি প্রতিবাদ করতে পারবেন না, আপনি সন্ত্রাসী। আপনি প্রেমে পড়তে পারবেন না, এটা জিহাদ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।