মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সন্ত্রাসী কাজে ভারত জড়িত রয়েছে বলে ‘অকাট্য প্রমাণ’ পেশের কয়েক দিনের মাথায় পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে চীন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেছে বেইজিং। গত শুক্রবার এক টুইটে চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন: আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস-দমন প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের ইতিবাচক অবদানের প্রশংসা করে চীন এবং সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান যে দমন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তাকেও দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। তিনি বলেন, সিপিইসি-তে নাশকতা চালানোর অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি ও আইএসপিআর ডিজি মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার এক যৌথ সাপ্তাহিক সম্মেলনে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন যে, চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরে (সিপিইসি) নাশকতা এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে ভারত। তারা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ভারত জড়িত থাকার বিস্তারিত প্রমাণ সম্বলিত ডসিয়ার তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ভারতের এই অপতৎপরতার ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়, অডিও শোনানো হয় এবং লিখিত তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়। এতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কীভাবে পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং টাকা-পয়সা দিচ্ছে সেই তথ্য রয়েছে। গত সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদেরকেও ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্রিফ এবং ডসিয়ার হস্তান্তর করে পাকিস্তান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পরিকল্পনা, উষ্কে দেয়া, সহায়তা করা, সহযোগী হওয়া, অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে ভারতের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের ‘ইতিবাচক অবদান’ স্মরণ করে চীন শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন অভিযোগের বিপক্ষে পাকিস্তানের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।
‘চীন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতায় পাকিস্তানের ইতিবাচক অবদানের প্রশংসা করে, সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানকে দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছে। সিসিপিতে নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ করা হবে বলে দৃঢ়মত ব্যক্ত করেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও। কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম)-এর পরিকল্পনা ব্যর্থ করা হয়েছে বলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবির কয়েক ঘন্টা পর লিজিয়ান ঝাও এ মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানের ‘সর্ব-আবহাওয়া মিত্র’ বেইজিং অতীতেও পাকিস্তানকে ভারতীয় অভিযোগ থেকে রক্ষা করেছে। দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত জোট ছাড়াও যৌথ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি), বহু-বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, যা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রধান প্রকল্পও রয়েছে। মিঃ লিজিয়ানের সিপিসি-র নির্দিষ্ট উল্লেখটিও চীনা এ প্রকল্পের সাফল্য এবং সুরক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।
‘মোদি এক টুইট বার্তায় বলেছেন’, বিশাল আকারের অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জাইশ-ই-মোহাম্মদভুক্ত ৪ জন সন্ত্রাসীকে নিরস্ত্রিকরণ ইঙ্গিত দেয় যে, বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর তাদের প্রচেষ্টা আবারও ব্যর্থ হয়ে গেছে।
‘আমাদের সুরক্ষা বাহিনী আবারও চরম সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করেছে। তাদের সতর্কতার জন্য ধন্যবাদ, তারা জম্মু ও কাশ্মীরে তৃণমূল পর্যায়ের গণতান্ত্রিক অনুশীলনকে টার্গেট করার জন্য একটি নিন্দিত ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করেছে’, তিনি আরও বলেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, এসব টুইট প্রধানমন্ত্রী মোদির সভাপতিত্বে একটি বৈঠকের পরে হয়েছে, যেখানে গোয়েন্দা সূত্র মুম্বাই হামলার বার্ষিকী উপলক্ষে সন্ত্রাসবাদী চক্রান্তের বিষয়ে সতর্ক করেছিল।
পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে ভারতের স্পনসরশিপের প্রমাণ উন্মোচন এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার কাছে সুনির্দিষ্ট বিবরণ উপস্থাপন করার পর ভারতীয় এ অভিযোগ আসে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, ভারতীয় অভিযোগগুলো তাদের সর্বোচ্চ স্তর থেকে গত সপ্তাহান্তে চালু হওয়া ‘পাকিস্তান ডসিয়ার’-এর প্রভাবকে খাটো করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। পররাষ্ট্র দফতর ‘স্পষ্টতই’ প্রত্যাখ্যান করে যে, এটি ছিল ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’। সূত্র : ডন অনলাইন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।