মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিহার রাজ্যে হিন্দু যুবককে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এক মুসলিম তরুণীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সতীশ আরও তিনজনের সগযোগীতায় মেয়েটিকে অপদস্ত করে ও কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মেয়েটির আর্তচিৎকার শুনে তার আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর ১৭ দিন পর রোববার মেয়েটি মারা যায়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর বিহারের রসুলপুরের হাবিব গ্রামে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেন গুলনাজ খাতুন নামের ওই তরুণী। দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল অভিযুক্ত সতীশ। কিন্তু প্রত্যাখাত ও অপমানিত হয়ে প্রতিশোধ নিতে সে তার বাবা চন্দন রায় ও চাচাতো ভাই চন্দন রায়ের সাহায্যে গুলনাজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ও আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেয়েটি এক ভিডিও জবানবন্দিতে সতিশ ও তার দুই সহযোগীর নাম বলে। ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে তা সারা দেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে। মেয়েটির শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের সঙ্গে মেয়েটির কথা কাটাকাটি হয়। তবে তাকে নিপীড়ন করা হয়েছিলো কিনা তা আরো তদন্ত করলে জানা যাবে। মেয়েটির মা বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনেছে। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে এফআইআর দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, আমরা বিচার চাই। আমার মেয়ে ১৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছে। আমরা অসহায়, কাপড় সেলাই করে বেঁচে আছি। সে কারণেই ওরা মেয়েটিকে পুড়িয়ে মেরেছে। আর চার মাস পর ওর বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
পুলিশ দাবি করে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করতে দেরি হচ্ছে। বৈশালির এসপি মনিশ বলেন, মেয়েটির বয়স ১৯-২০ বছর। সে তিন জনের বিরুদ্ধে তাকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারতে চাওয়ার অভিযোগ করেছে। গত রোববার সে মারা গেছে। ৩০ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটলেও এফআইআর দায়ের করা হয় ২ নভেম্বর। এসপি আরো জানান যে মেয়েটির অভিযোগ মতো তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরা হলো সতীশ, তার পিতা বিনয় ও চাচাতো ভাই চন্দন।
মামলায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার রাস্তার পাশে ভিকটিমের লাশ রেখে প্রতিবাদ জানায়। পরিবার এই মামলায় তিনজনকেই গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, যেহেতু মেয়েটি মুসলমান ছিল এবং ছেলেটি হিন্দু ছিল তাই তাকে ‘লাভ জিহাদ’ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। সূত্র : পাকিস্তান ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।