মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১০ সালের নভেম্বরে প্রথম ভারত সফর করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এ সম্পর্কে তিনি বর্তমানের বিরোধী দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বড় রকম প্রশংসা করেছেন। তাতে ভারতে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নিজের লেখা রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে লেখা স্মৃতিকথা ‘এ প্রমিজড ল্যান্ড’-এ তিনি অনেক কথা লিখেছেন। তাতে প্রায় ১৪০০ শব্দ ব্যবহার করেছেন ভারতে প্রথম সফর বর্ণনা করতে। ওই সময় তিনি ভারতে তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই বৈঠকের কথা স্মরণ করেছেন। তিনি মনমোহন সিংকে তার একটি আশঙ্কার কথা বলেছিলেন।
বারাক ওবামা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ‘ভারতে মুসলিমবিরোধী সেন্টিমেন্টের উত্থান হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির প্রভাবকে শক্তিশালী করেছে’। বিজেপি তখন বিরোধী দলে। এ বইয়ে তিনি বর্তমান প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতে অভিভূত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওবামা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ভারতের অর্থনীতির রাজধানী মুম্বাইয়ে অস্ত্রধারীরা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল কমপক্ষে ১৬৬ জনকে। ওই সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার কড়া চাপ ছিল মনমোহন সিংয়ের ওপর। কিন্তু তিনি সেই দাবির বিরোধিতা করেছিলেন। এ সম্পর্কে বারাক ওবামা লিখেছেন, এই রাজি না হওয়ার জন্যই রাজনৈতিক মূল্য দিতে হয়েছে মনমোহন সিংকে। ওই সময় বারাক ওবামাকে মনমোহন সিং বলেছিলেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট অনিশ্চিত সময়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংহতির আহ্বান তিক্ত হয়ে উঠতে পারে। ভারতে বা অন্য কোনো স্থানে তার ব্যবহার রাজনীতিকদের জন্য খুব কঠিন কিছু নয়।
এ কথা মেনে নেন ওবামা। তিনি চেক প্রজাতন্ত্রে ভেলভেট বিপ্লবের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট ভাসøাভ হ্যাভেলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়কার কথোপকথন স্মরণ করেন। প্রাগ সফরকালে তার ওই সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি ইউরোপে উদারপন্থীদের জোয়ারের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। দিল্লিতে প্রথম রাতের নৈশভোজে ওবামাকে আপ্যায়িত করেছিলেন মনমোহন সিং। এ সম্পর্কে ওবামা লিখেছেন, তিনি (মনমোহন) যেসব সমস্যা দেখতে পেয়েছেন সে সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেছেন। এ সময়ে তিনি অবনতিশীল অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র মর্টগেজ সঙ্কটে ডুবে যাচ্ছিল। এ বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছিলেন। এ ছাড়া ওবামা লিখেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সৃষ্ট অব্যাহত উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ওবামা লিখেছেন, পাকিস্তানের সমস্যা ছিল। তারা ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছিল। এসব হামলার জন্য দায়ী ছিল লশকরে তৈয়্যবা। ধারণা করা হয়, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে। ভারতের অর্থনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রধান রূপকার হিসেবে মনমোহন সিংকে আখ্যায়িত করেছেন ওবামা। একই সঙ্গে তাকে সৎ, চিন্তাশীল বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজস্ব ধরনের টেকনোক্র্যাট। তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। এটা শুধু আবেগ দিয়ে নয় একই সঙ্গে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার মাধ্যমে এসেছে। দুর্নীতির কলঙ্ক ছাড়াই একটি সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি অসাধারণ শালীন এবং অমায়িক ব্যক্তি। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।