মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) এর মেইনলাইন (এমএল)-১ প্রকল্পের প্যাকেজ -১ নির্মাণের জন্য চীনের কাছ থেকে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এমএল -১ প্রকল্পের অর্থায়ন কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে চীনকে প্রাথমিকভাবে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার লোন দেয়ার জন্য অনুরোধ করবে। চীনের অর্থায়নে নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের মোট ব্যায় ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বলে সরকারী কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরের সপ্তাহে চূড়ান্তভাবে চিঠি পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারণ, বেইজিং চলতি মাসের শেষের দিকে তার পরবর্তী বছরের অর্থায়নের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, অর্থ কমিশনের ষষ্ঠ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশসের উপ-চেয়ারম্যান ডক্টর জাহানেব খান।
পাকিস্তানের রেলপথ মন্ত্রণালয় ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সম্পূর্ণ অর্থায়নের জন্য অনুরোধ করার পক্ষে ছিল। তবে ঋণ স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, এই পরিকল্পনাটি চীনের অনুমোদনের সাপেক্ষে পাকিস্তান তিনটি কিস্তিতে পাবে।
চলতি বছরের আগস্টে, জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি (একনেক) কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এমএল -১ প্রকল্পটিকে ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অনুমোদন দিয়েছে। পাকিস্তান এই প্রকল্পের জন্য ঋণ হিসাবে ৯০ শতাংশ চীনের কাছে চায় যা বেইজিং এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়নি।
সরকারী নথি অনুসারে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, ‘আইএমএফ কর্মসূচির প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কারণে’ প্যাকেজ -১ এর আওতায় মাত্র ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের নির্মাণ কাজ করবে। কিন্তু পরে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনার পরে কাজের পরিধি বাড়ায় তা ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়। প্যাকেজ -১ ২০২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। এর আওতায় পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরের মধ্যে ৫২৭ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। তবে, সূত্র বলেছে যে, ঋণ পদ্ধতি চূড়ান্তকরণ এবং ঠিকাদারদ নির্বাচনে বিলম্বের কারণে জানুয়ারীর মধ্যে এই কাজটি শুরু হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এমএল -১ প্রকল্পের মধ্যে পেশোয়ার থেকে করাচী পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭২ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েলগেজকরণ এবং উন্নতিকরণ অন্তর্ভুক্ত এবং সিপিসি-র দ্বিতীয় পর্বের জন্য এটি একটি বড় মাইলফলক।
তবে, প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্য বিলম্বের মুখোমুখি হয়েছে এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) উভয় সরকারই মূলত সম্মত সময়সীমা পূরণ করতে পারেনি। সূত্র জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলে পাকিস্তান ১ শতাংশ সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য চীনের কাছে অনুরোধ করেছে। তবে চীন এখনও এই অনুরোধে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি। তারা বলেছে যে, অনানুষ্ঠানিকভাবে চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে টার্মশিটে উল্লিখিত সুদের হার বেশি হতে পারে। সূত্র: পাকিস্তান ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।