গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট দের বের করে দিয়েছে ও ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা ১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় মালেকা বানু উচ্চ বিদ্যালয় ভোটদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন ।
এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অতীতে আমরা যে অভিযোগ করেছে সে অভিযোগ সত্যি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঢাকার বাহির গাজীপুর, সবার সহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে জরো করছে। ভোটাররা সেখানে ভয়ে ভোট দিতে পারতেছেনা। শুধু তাই নয় ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না। আমাদের আমাদের পোলিং এজেন্ট দের মারধর করে বের করে দিয়েছে। অনেক জায়গায় ভোটার তো দূরের কথা ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দিচ্ছে না।আমি যতটা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি এবং আমাদের কন্ট্রোল রুমের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রায় কেন্দ্র থেকে মারধর করে পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, উত্তরা রাজউক কলেজে ৮ টি ইভিএম মেশিন এর চারটি নষ্ট। সেখানে সাংবাদিকরা প্রবেশকালে তাদের বাধা দেয়া হয়। নবাব হাবিবুল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই কেন্দ্রের ভোটার না হওয়ায় ধানের শীষের ঢুকতেই দেয়নি দেয়নি পুলিশ। যা নির্বাচন কমিশনার আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। এই হচ্ছে ভোটের অবস্থা। তারা কোনভাবেই যায় না জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।জনগণ যাতে ভোট দিতে আসতে পারে তাহলে অবশ্যই ধানের শীষে ভোট দিন ভোট দেবে।
ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, ভোটকেন্দ্রের দেশের ভিতরে কোন বহিরাগত এবংকোন প্রার্থীর ক্যাম্প করতে পারবে না কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে প্রবেশ পথে নৌকার কৃত্রিম লাইন তৈরি করে রেখেছে। যার কারণে ভোটাররাও ভয় প্রবেশ করতে পারছ না। এটা কিসের আলামত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকে। কিন্তু এবার ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। আপনি বলেন আপনারা বলেন অনেকে চাকরি করে তারা উপস্থিত ভোট দিতে আসবে না। এখানে সবকিছু ওপেন স্টাইলে চলতেছে। দখলদার বাহিনীর দখল করবে বলে কবে এসব প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ বাহিনী সব একাকার হয়ে ভোট দখলের চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, আমি এই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছি।আবার এই কেন্দ্রে সকালে ১০ জন ভোটার ভোট দিতে এসেছিল তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ এজেন্ট দের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। যারা ধানের শীষের চিহ্নিত ভোটার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রথম ভোট সুস্থ হওয়ার কোনো আলামত নেই। সুস্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের যেরকম ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে এবারও তাই করছে। আওয়ামী লীগ তাদের দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। ভোটার কোনো পরিবেশ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।